সামনে রমযান মাম। স্বাভাবিকভাবে রাজ্য জুড়ে বাড়বে মুড়ির চাহিদা। ব্যস্ততাও বেড়েছে মুড়ির কারখানাগুলোয়। সারা বছরই মুড়ির চাহিদা বাঙালির ঘরে ঘরে থাকে। রোজা এলে মুড়ির চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গ্রামগঞ্জে দেশীয় পদ্ধতি ছাড়াও বর্তমানে মিলে উৎপাদিত মুড়ি ব্যাপকভাবে বাজারজাত হচ্ছে। মিলে যে মুড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তা কি আসলে মুড়ি নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন পণ্য? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় মুড়ি উৎপাদনের মিল গুলোতে গেলে। এক সময় চালের সঙ্গে কাঁকর আর দুধের সঙ্গে পানি মেশানো ভেজালের কথা শোনা যেত। কিন্তু বর্তমানে মুড়িতে মেশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা উৎপাদিত মুড়ি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে এমনকি প্যাকেটজাত করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে। কিছু কিছু মিলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মুড়ির দানা বড়, সাদা এবং সুস্বাদু করার জন্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক মুড়ির চালে মেশানো হচ্ছে। ক্ষতিকারক এসব কেমিক্যাল মিশিয়ে চাল রাখা হচ্ছে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে। বিষাক্ত কেমিক্যাল মানবদেহে ক্যান্সার তৈরির উপাদান হিসেবে কাজ করে। এসব বিষাক্ত কেমিক্যাল শরীরে কোষের ক্রোমোজমের ক্ষতিসাধন করে। কোষ বিভাজন হয় অস্বাভাবিক। কোষের গঠন, আকৃতি, কার্যকারিতায় স্বাভাবিকতা বজায় থাকে না। রাজ্যের আশপাশের জেলাগুলোর একশ্রেণির অসৎ লোক বিনা বাধায় জনস্বাস্থ্য বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত বলে দাবি করছেন সর্বস্তরের মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct