কনজাংটিভাইটিস। এ রোগের ডাকনাম ‘জয়বাংলা’। অনেকে আবার ‘চোখ উঠেছে’ বলেও ব্যাখ্যা করেন। তবে চিকিৎকেরা একে বলেন কনজাংটিভাইটিস । এটি মারাত্মক কোনো রোগ না হলেও এটি খুবই অস্বস্তিকর। কনজাংটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে যায় ও চোখ ফুলে ওঠে। চোখের ভিতরে কটকট করে। চোখ জ্বালা করার সঙ্গে সঙ্গে চোখ থেকে জল পড়ে। পিচুটি কাটার মতো সমস্যাও দেখা যায় কনজাংটিভাইটিস হলে। এটা হলে রোদে বা চড়া আলোতেও তাকাতে খুব কষ্ট হয়। চোখ থেকে অনবরত শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ (পিচুটি) বের হতে থাকে। কখনো কখনো হলদে রঙের পুঁজও সৃষ্টি হয়। সাধারণত সাত থেকে আট দিনের মধ্যে এই উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে কমে আসে। কিন্তু দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের মণি বা কর্নিয়াতে সাদা ছোপ পড়ে যায়। যাদিও খালি চোখে দেখে তা বোঝা যায় না। চিকিত্সকদের মতে, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে, অপরিষ্কার হাত চোখে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। হাত পরিষ্কার থাকলেও, বার বার চোখে হাত না দেওয়াই ভালো। চোখ লাল হলে বা কটকট করলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে আমাদের উচিত বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা।
যে সতর্কতাগুলি হল:
১. তাপ, ধুলাবালি, চড়া আলো বা রোদ এড়িয়ে চলুন।
২. স্যাতসেঁতে, ময়লা-আবর্জনাযুক্ত জায়গা এড়িয়ে চলুন।
৩. পুকুর বা নদী-নালায় স্নান করবেন না।
৪. যত দিন না কনজাংটিভাইটিস পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে, তত দিন বেশির ভাগ সময় চোখে কালো চশমা পরে থাকুন।
৫. সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন সম্পুর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct