অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠলো অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেপবার্নের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হল।একাধিক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো প্রমাণিত হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২০১৭ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সম্মতি না নিয়েই হেপবার্ন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণ। পরে তিনি আদালতে হেপবার্নের নামে নালিশ করেন। অ্যালেক্স হেপবার্ন ও তাঁর সতীর্থ জো ক্লার্ক ২০১৬ সাল থেকেই নিষিদ্ধ এই খেলায় মত্ত থাকায়। কে কতজন মহিলার সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন, খেলার মূল বিষয়বস্তু ছিল এটাই। এই খেলার জন্য তাঁদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত অশ্লীল মেসেজের আদান-প্রদান হতো। কে কতজনকে ‘পটাতে’ পারলেন, সেই হিসাব রাখা হতো। এই খেলায় জেতার জন্য মরিয়া হেপবার্ন একজনের সম্মতি না নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়েছিলেন, যাঁর কিনা আদতে ক্লার্কের সঙ্গে রাত্রিযাপনের কথা। মামলার বাদী নাম অপ্রকাশিত সেই মহিলাই। অন্ধকার ঘরে প্রথমে বুঝতে না পারলেও হেপবার্নের কথায় অস্ট্রেলিয়ান টান শুনে বাদী বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গী ক্লার্ক নন, হেপবার্ন। পরে হেপবার্নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন সেই মহিলা। হেপবার্ন বরাবরই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। বারবার বলেছেন, যা হয়েছে, তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। কিন্তু টানা দুই বছর মামলা চলার পর অবশেষে হেপবার্নের এই দাবি আদালতের কাছে ধোপে টিকল না। মামলার রায় শোনার পর আদালত কক্ষে ভেঙে পড়েন হেপবার্ন। স্বীকার করেন, যা করেছেন, তা ছিল গর্হিত অপরাধ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct