ম্যানচেস্টারে পপ কনসার্টের জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার রাতে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে চালানো ওই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৯ জন। এই হামলাকে প্রাথমিকভাবে আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড হিসেবে শনাক্ত করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সব রাজনৈতিক দল। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সারাবিশ্বে।
এদিকে ব্রিটেনের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমে শুধু কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিত ঘোষণা করে। পরে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। শীর্ষ নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে আলোচনা করেই সবগুলো দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত ৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হতাহতদের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বিশ্বনেতারা। বেথলেহাম সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় ব্রিটিশ জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অব রাশিয়া নামের টুইটার একাউন্টে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন শোক ও সমবেদনা জানান। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ভীষণ মর্মাহত। তীব্র নিন্দা জানাই এই হামলার। আমি উদ্বিগ্ন সেই পরিবারগুলোকে নিয়ে যারা স্বজন হারিয়েছেন। আহতদের জন্য রইলো প্রার্থনা।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হতাহতদের প্রতি ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছেন বলে জানান। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ও লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা টিম ফ্যারনও তাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এ নিয়ে কোবরা সরকারি জরুরি কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা হয়েছে। আত্মীয় ও বন্ধুদের সম্পর্কে জানার জন্য পুলিশ সবাইকে +৪৪০১৬১৮৫৬৯৪০০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেছে।