মালদা জেলার রতুয়া-১ব্লকের বৈকন্ঠপুর গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল আম বাগান থেকে। ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম অর্চনা মন্ডল(৩০)। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে অর্চনার বিয়ে হয় পেশায় দিনমজুর অশোক মণ্ডলের সাথে। তাদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বুধবার বিকেলে থেকে নিখোঁজ হন অর্চনাদেবী। তারপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কিছুদূরে আম বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত গৃহবধূকে চিনতে পেরে, খবর দেওয়া হয় তার পরিবারে। ঘটনার খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধূর স্বামী অশোক মন্ডল জানান, বুধবার সন্ধ্যেবেলা কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোজাখুজি শুরু করেন অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান মেলেনি। সকালবেলা ঘুম ভাঙতেই স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পায়। এসে দেখি আম গাছে স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ এবং পেছনে হাত বাধা অবস্থায় রয়েছে। আমার মনে হয় কেউ বা কারা গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধকরে খুন করেছে। আমার ছোট ছোট দুই ছেলে এদের এখন কি হবে। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি যারা এ ঘটনার সাথে যুক্ততাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মন্ডল, মৃন্ময় মন্ডল, দেবেন মন্ডলের অভিযোগ অর্চনা মন্ডলকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। কারণ ঘটনাস্থলে প্লাস্টিকের গ্লাস ও মদের বোতলেরছিপি পড়ে রয়েছে এর থেকে মনে হয় দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে এখানে মদের আসর বসিয়ে ছিল তারপর ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর খুন করে শাড়ির ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেয়। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct