পিরামিডের দেশ মিশরে জনগণের বিপুল ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মুহাম্মদ মুরসি। কিন্তু সেখানে সেনা আধিপত্যের জেরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে সেনা মনোনীত প্রেসিডেন্ট বসানো হয়। এর মূল ছিল মুরসির ইসলামপন্থী হিসেবে চলা। প্রকৃত ইসলাম্বর পাঠ অনুসরণ করে মুরসি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মিশরকে। তা মানতে পারছিল না আমেরিকা ও ইসরাইল। তাদের ধারণা মিশরে ইসলামপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত হলে ইসরাইলের বিপদ হতে পারে। আবার এই মিশরের কাছে এক সময় পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল আমেরিকাকে। প্রেসিডেন্ট নাসের সুয়েজ খাল বাঁধ করে মার্কিন বাগিনিকে বিপদে ফেলে আম্বরীকে আত্মসমর্পণ করেছিল।সে সব ইতিহাস। এখন মিশরকে হাতের পুতুল সরকার করেছে আমেরিকা। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে জেলে পুরেছে।শুধু টাইনয়, মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দিয়েছে। এ সবের পিছনে যে ইসরাইল বা আমেরিকা ছিল তা এবার প্রকাশ্যে এল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরয়িহ ইলদাদ স্থানীয় এক পত্রিকা ‘ম্যারিভ’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে বলেছেন, মুহাম্মদ মুরসির ক্ষমতায় থাকলে ইসরাইলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় মুরসিকে সরানো হয়েছে। আর তার পিছনে ছিল ইসরাইলের বিশেষ ভূমিকা।
‘দ্য আউটব্রেক অব দ্য জানুয়ারি রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি বলেন, মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ইসরাইল মুসলিম ব্রাদারহুডের মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন করত। কারণ, তিনি ইসরাইলের সাথে সম্পাদিত শান্তিচুক্তি বাতিল এবং সিনাই উপত্যকায় সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছিলেন, যা ইসরাইলকে ভীত করে তোলে। ফলে ইসরাইল দ্রুত ও সক্রীয়ভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং আবদুল ফাত্তাহ সিসিকে ক্ষমতায় আনার ব্যবস্থা নেয়। এই ক্ষেত্রে ওবামার মার্কিন সরকার কোনো আপত্তি না করে এক প্রকার সম্মতি জানিয়েছিল। তবে ইসরাইলের আশঙ্কা ছিল মুরসি ক্ষমতায় থাকলে ৪০ বছরের পুরনো ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিটি ভেঙে দিতে পারে। তাই মুরসিকে সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct