একজন সুস্থ ব্যক্তি, যার মাঝে শারীরিক অসুস্থতার কোনো লক্ষণ নেই। যার রক্তচাপ সব সময়ই ৯০ থেকে ৬০ বা এর কম থাকে। তিনি কিন্তু লো ব্লাড প্রেশারের রোগী নন। বুঝতে হবে যে কম রক্তচাপ তার জন্য স্বাভাবিক। জলশূন্যতা , রক্তশূন্যতা , হৃদরোগ, হরমোনজনিত রোগ , রক্তে অতিমাত্রায় জীবাণু সংক্রমণ (সেপসিস), অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া , অপুষ্টি , গর্ভাবস্থা , অধিক সময় শুয়ে থাকলেও রক্তচাপ কমে যেতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ হলে বিচলিত না হয়ে প্রতিকারমূলক সাধারণ পদক্ষেপগুলো পালন করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিম্ন রক্তচাপের সঙ্গে একজন রোগীর মাঝে অবশ্যই নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো থাকতে হবে।
লো ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ
১. সব সময় বমি ভাব বা বমি হওয়া
২. ত্বক সাদা হয়ে যাওয়া বা ঠাণ্ডা বোধ হওয়া
৩. ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
৪. অতিরিক্ত তৃষ্ণা বোধ হওয়া
৫. অত্যধিক দুর্বল লাগা
৬. কোনো কিছুতে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা/অপারগতা
৭. বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়া
৮. মাথা ঘোরানো, মাথা হালকা বা ফাঁকা বোধ হওয়া
৯. চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা *অজ্ঞান বা প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
লো ব্লাড প্রেসারে যা করণীয়
১. রক্তচাপ যদি হঠাৎ কমে যায়, অথবা ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দেয় তবে সাধারণ পদক্ষেপ হিসেবে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ রাখুন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন
৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম পরিহার করুন
৪. অত্যধিক রোদে বা গরমে থাকবেন না
৫. দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা শুয়ে থাকবেন না
৬. শোয়া থেকে বসা বা বসা থেকে দাঁড়ানো ইত্যাদি ধীরে করুন
৭. ডায়াবেটিস রোগী হলে রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
১. রক্তচাপ অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে ২০ মি.মি/পারদ বা এর অধিক কমলে
২. লক্ষণগুলো অধিক মাত্রায় দেখা দিলে, যেমন মাথা ঘোরানো বা অজ্ঞান হওয়া
৩. ওষুধ বা অ্যালার্জিজনিত তাৎক্ষণিক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে
৪. অত্যধিক রক্তক্ষরণ, বমি বা ডায়রিয়াজনিত নিন্ম রক্তচাপ হলে
৫. নির্দিষ্ট রোগ, যেমন-হৃদরোগ, হরমোনজনিত রোগ বা জীবাণুর সংক্রমণ ইত্যাদির কারণে নিম্ন রক্তচাপ হলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct