বর্তমান ব্যস্ত সময়ে আমরা ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পরছি যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মোতেই ভাল না। আর শিশুদের খাদ্য তালিকায় তো প্রধান জায়গা করে নিয়েছে এই জাতীয় খাবার। তাদের এই খাদ্যাভাস থেকে রাখতে চাইলে প্রথমে অভিভাবকদের এই সব অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে হবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাত্র চারটি উপায় মেনে চললে আপনার মন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উৎসাহী হবে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন, অতি সাধারণ কয়েকটা কৌশল মেনে চললেই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের প্রবণতাকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনা যায়।
গবেষকরা বলছেন, আমরা খাবার নিয়ে যেভাবে ভাবি, সেই ভাবনাটাই খাদ্যাভ্যাসের ইতিবাচক বদল ঘটাতে পারে এবং মেদ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
এই চারটি কৌশল হল :
১. অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে নেতিবাচক ভাবুন :
গবেষকেরা একদল মানুষকে খাদ্য গ্রহণের আগে সেই খাবার সম্পর্কে মাত্র ছয় সেকেন্ড নেতিবাচক ভাবনা ভাবতে বলেছেন।
এই ছয় সেকেন্ডের মধ্যে ভাবনাটা যে কোনো বিষয়েই হতে পারে। যেমন: খাবারটা কতটা অস্বাস্থ্যকর, খাবারের স্বাদটা কেমন, দেখতে কেমন ইত্যাদি।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের এই ভাবনার ফলে, মানুষের মধ্যে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আগ্রহ অন্তত ২০ শতাংশ কমে যায়। এর মাধ্যমেই খাদ্যাভ্যাস পাল্টানো ও অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে ভাবুন :
অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে মাত্র ছয় সেকেন্ড যেভাবে ভাবার কথা বলা হয়েছিল, তেমনি একই পরিমাণ সময় ধরে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কেও ভাবতে বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রেও দারুণ ফল পাওয়া গেছে। অন্তত ১৪ শতাংশ মানুষের খাবারে আগ্রহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে।
৩. অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়াতে মনকে প্রশিক্ষণ দিন :
গবেষকেরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কত ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পরে এই নিয়ে ১৫ মিনিট ধরে চিন্তা করতে হবে।
চিন্তা করা পর তাদের স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকরের মধ্যে যে কোন একটি খাবার বাছাই করার সুযোগ দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে দেখা যায় অন্তত ৭.৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারটাই বাছাই করেছে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে মনকে প্রশিক্ষণ দিন :
গবেষকেরা আবারো আগের মতই একদল মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে ছবি দেখান, এ বিষয়ে কিছু পড়তে দেন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের ফলে কী কী সুবিধে পাওয়া যাবে এই নিয়ে আলোচনা করেন।
এরপর যখন ওই গ্রুপের মানুষদেরকে খাবার বাছাই করার স্বাধীনতা দেয়া হয় তখন দেখা যায় অন্তত ৫.৪ ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct