দিনের বেলা কংগ্রেস, রাতের বেলা বিজেপি। চাঁচলে এভাবে আক্রমণ করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন চাঁচলে রাহুলের পাল্টা সভা ডেকেছিল তৃণমূল। রাহুলের সভাস্থলেই আজ চাঁচলের কলমবাগান মাঠে প্রার্থী মৌসম নুরের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ২৩ মার্চ এখানে সভাকরে তৃণমূল কংগ্রেসকে ও মোদিকে সমানভাবে সমালোচনা করেন। তার জবাব দিতে পালটা সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃনমুলের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি, সাবিত্রী মিত্র, রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ আহমদ হাসান ইমরান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল। ছিলেন মালদার তৃণমূল দলের বিধায়কেরাও। রাহুল গান্ধী যেমন ভাবে সভা আসেন ঠিক একইভাবে হেলিকপ্টার করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীও নির্বাচনীজনসভা করতে আসেন। রাহুল গান্ধীর সভাতে মানুষ ছিল চোখে পরার মতো এদিনের শুভেন্দুর সভা ছিল একই মুহূর্ত।
মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন , আমাদের একটাই লক্ষ্য কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে সরানো।কিন্তু মালদায় কংগ্রেস নেতারা কি করলেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সভা করলেন এতে কার শক্তি বৃদ্ধি হবে। তিনি আরো বলেন এই সভাটি কংগ্রেস হবিবপুরে করতে পারত গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুর এলাকায় ব্যাপক শক্তি বৃদ্ধি ঘটিয়েছে বিজেপি। সেখানে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন দখল করেছে বিজেপি মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি আরও বলেন, কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে সোনিয়া গান্ধী প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। মোদির বিরুদ্ধে একজোটের বার্তা দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। অথচ সেই কংগ্রেস দলের রাহুল গান্ধী মালদার চাচোলের কলম বাগানে এসে তৃণমূলকে গালমন্দ করে গিয়েছেন। তবে মালদা আর সেই জায়গায় নেই। মালদা জেলা এখন তৃণমূলের শক্ত দুর্গে পরিণত হয়েছে। এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন তিনি হার্মাদ দলের বিধায়ক ছিলেন। সেই হার্মাদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আমি বলব উত্তর মালদার মানুষকে বিজেপি প্রার্থী যখন প্রচারে যাবেন, তখন মহিলারা যেন সামনে না আসেন। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরও বলেন, মালদায় আমরা দুটি আসনই জিতব। এদিনের নির্বাচনী জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান। মৌসুম নূর বলেন, এই কেন্দ্র থেকে আমি পরপর নির্বাচিত হয়ে এসেছি। মানুষ আমাদের দুইবার আশীর্বাদ করেছেন। এবারও আমাকে উত্তর মালদার মানুষ জয়ী করবেন। কারণ আপনাদের আপদে-বিপদে সবসময় পাশে রয়েছি।
রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ এবং পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের চরম সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে সংখ্যালঘু সহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যের। তাই মানুষ রাহুলের কথায় নয় মমতার উন্নয়নের সপক্ষে রায় দেবেন। তিনি সিপিএমের সমালোচনা করে বলেন, বামেরা রাজ্যের উন্নয়ন দেখতে পারে যা পেরেছে মমতার সরকার।
এছাড়া, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি তুলে ধরে তোপ দাগেন। ইমরান বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, মালদার আফরাজুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বিজেপি। রাজস্থানের সেই বর্বরতার নায়ক শম্ভু লালকে বিজেপি সংবর্ধনা দিয়ে সাম্প্রদায়িক তাস খেলছে। মানুষ তাদের সেই সাম্প্রদায়িক খেলাকে সমর্থন না করে সম্প্রীতি ও উন্নয়নের প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct