কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ৪০জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে ভারতের।পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা বিমান হানা করেছে। তাতে পাক সীমান্তে থাকা সব জঙ্গি শিবির ধ্বংস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও পাকিস্তানের সঙ্গে মতপার্থক্য বা বিরোধ থামছে না। পাকিস্তান তাদের হাতে বন্দি ভারতীয় বায়ুসেনা অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দিলেও দু দেশের মধ্যে বৈরিতা একটুকুও কমেনি। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করতে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে।সম্প্রতি একটি ঘটনা সেকথার উসকে দিয়েছে।
জানা গেছে, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনে শুক্রবার পাকিস্তান জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে পাক হাই কমিশনের তরফ থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকে শীর্ষ অফিসারদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভারতের তরফে কোনও প্রতিনিধি না পাঠানো হবে না ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য।এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পাক হাই কমিশনের অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়াত নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাক হাই কমিশন হুররিয়াত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে ভারত সরকার তাদের অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিনিধি না পাঠিয়ে অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এমনকী পাকিস্তানেও ভারতীয় দূতাবাসের কোনও কর্মী সেখানকার পাক অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ভারতের বিদেশ মুখপাত্র বলেন, গত মাসেই ভারত জানিয়ে দিয়েছিল, দ্বিপক্ষীয় কোনো বিষয়ে কাশ্মীরের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতাদের উপস্থিতি ভারত মেনে নেবে না।তা সত্ত্বেও হুররিয়াত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোয় পাক হাই কমিশনের বয়কটের সিদ্ধান্ত।
যদিও পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও কোনো নেতাই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। জানা গেছে, পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকার হুরিয়াতের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফকে শুক্রবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া, হুররিয়াত নেতা সৈয়দ আলি শাহ জিলানিকে বৈদেশিক মুদ্রা লংঘন আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।