দ্বিতীয় বার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ড. হাসান রুহানি। এবারের নির্বাচনে মোট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ১৩১ জন। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি পেয়েছেন ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি পেয়েছেন ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৩১ ভোট। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাহমানি ফাজলি শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষণ করেছেন। এড. হাসান রুহানি পেয়েছেন মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের ৩৮.৫ শতাংশ।
ইরানের একজন পদস্থ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন আর কোনও অনিশ্চয়তা নেই। রুহানি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
৬৮ বছর বয়সী রুহানি গতবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পদক্ষেপ রাখেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে ইরানি তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করা হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, বিকেল ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের কারণে তা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। শনিবার তার ফলপ্রকাশ হয়।
ইরানের ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন – বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি, ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক উপ-প্রধান সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি, ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আগা মিরসালিম এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা হাশেমি তাবা। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হাসান রুহানি এবং ইব্রাহিম রায়িসির মধ্যে।