সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে পাবলিক টয়লেটে মেয়েদের একটু বেশি সময় লাগে। এর একটি কারণ হয়তো, পাবলিক টয়লেটে মেয়েরা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কাজ সারতেই যায় না। তারসঙ্গে সেখানে তাঁরা কথাবার্তা বলে, বন্ধুত্ব করে, মেকআপ ঠিকঠাক করে।
গত প্রায় ১০ বছর পাবলিক টয়লেটে মেয়েরা ঠিক কী কী কাজকর্ম করে, তার ছবি তুলছেন সামান্থা জ্যাগার। তাঁর জন্য কোনও সাধারণ ক্যামেরা ব্যবহার করেননি। হাতব্যাগে বহন করা যায় এমন ৩৫ মিমি আকারের শুটিং ক্যামেরার সাহায্য ছবি গুলো তোলা হয়েছে।
ছবি গুলো তোলা হয়েছে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ও লিডস শহরের বিভিন্ন পাবলিক টয়লেট থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন পাব ও ক্লাবের লেডিজ টয়লেট থেকে তোলা হয়েছে।
সামান্থার এই বিপুল সংখ্যক ফটোগ্রাফের একটি অংশ নিয়ে লন্ডনে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সামান্থা যার নাম দিয়েছেন ‘লুসেন আপ’।
সামান্থা যাদের ছবি তুলেছে তাদের অনেকেই সামান্থার বন্ধু, বাকিদের সঙ্গে তাঁর পাবলিক টয়লেটেই পরিচয় হয়। সামান্থা তার প্রদর্শনীর ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে জীবনের এক স্বল্পালোচিত বা প্রায় অনালোচিত গল্প বলতে চেয়েছেন।
সামান্থা বলছেন, ‘কৈশোরে শখের বশেই আমি ছবি তোলা শুরু করি, কিন্তু মাত্র গত বছরই আমি হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম, আমার তোলা ছবির একটি বড় অংশই হচ্ছে টয়লেটের মধ্যে তোলা।’
‘আমার মনে হলো, এই ছবিগুলোর ভেতর দিয়ে মেয়েদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বোঝা যায় তাদের একেবারে নিজেদের মত করে কাটানো সময়ে তাদের আচরণের মধ্য দিয়ে।
টয়লেটের ভেতরে মেয়েরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও আমি বুঝতে পারি এই সময়ে।’
‘গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চাকরি বদলানো, সম্পর্ক ভাঙ্গা কিংবা সামনে এগুনোর তড়িৎ সিদ্ধান্ত।
এটা আজব একটা ব্যপার, কিন্তু ক্যামেরার লেন্সের ভেতর দিয়ে আমি গত ১০ বছর ধরে তাই দেখছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct