পিস টিভির কর্ণধর ডা. জাকির নায়েক সৌদি নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে ইংরেজি দৈনিক দ্য মিডল ইস্ট মনিটর সূত্রে জানা গেছে।। সন্ত্রাসের উৎসাহদাতা অভিযোগে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তার বহু সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্র জাকির নায়েককে এদেশে এনে জেরা করার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রেখেছে। পরোয়ানা জারির সময় জাকির মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। এরপর তিনি দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় ৫ বছর আগে মালয়েশিয়া সরকার জাকির নায়েককে স্থায়ী রেসিডেন্সি পারমিট দিয়েছিল।
বর্তমান জাকির সৌদিতে অবস্থান করছেন এবং বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সরাসরি হস্তক্ষেপে তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে বলে খবর।
অভিজ্ঞ মহল বলছে,, জাকির নায়েক ইন্টারপোলের গ্রেফতার থেকে রক্ষা করতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ-এর কাছে নাগরিকত্বের আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে বাদশাহ সৌদি নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
৫১ বছর বয়সী জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে নিহত জঙ্গিদের কয়েকজন জাকির নায়েকের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গুলশান হামলার পর জাকির নায়েকের কার্যকলাপ নজরদারিতে আনা হয়।
ধারণা করা হচ্ছিল, জাকির নায়েক গ্রেফতার এড়াতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জাকির নায়েক ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর প্রতিষ্ঠিত আইআরএফকে অবৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। আইআরএফের প্রেসিডেন্ট ও এর সদস্যরা ‘অবৈধ কার্যকলাপকে’ প্রশ্রয় দিচ্ছেন উল্লেখ করে দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct