অন্যান্য গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে গ্রামবাংলার যুবকদের কাছে জনপ্রিয় পায়রা। যদিও ইট-পাথরে ঘেরা জনবহুল শহরের ছাদে বা জানালার কার্নিশে এখন পায়রা পালনের দৃশ্য খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এটা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পায়রা পালনের ইতিবিত্ত, পালনের উপকারিতা, আর্থিক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা, পালন পদ্ধতি, পায়রার জাত, থাকার ঘর, পায়রার খাবার, রোগব্যাধি- চিকিৎসা ও পালনের সতর্কতাসহ নানান বিষয়ের আলোচনা উঠে এলো।
পায়রা পালন করলে সুবিধা অনেক। একজোড়া ভালো প্রজাতির পায়রা থেকে পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে কয়েক জোড়া কবুতর পাওয়া খুব বেশি আর্শ্চযজনক ব্যাপার নয়। তাই পায়রাকে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ, পায়রা লালন-পালনের খরচ খুব একটা নেই। এমনকি পায়রার রোগব্যাধি কম হয়। পায়রার থাকার জায়গা নির্বাচনে ও অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এই কারণে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে পায়রা পালন অবশ্যই লাভজনক।
১. একটি পায়রা বছরে কমপক্ষে ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম। এই ডিমগুলো থেকে প্রাপ্ত বাচ্চা জন্মের পর ৪ সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে।
২. পায়রাকে পোষ মানানো সহজ। পায়রা পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়।
৩. পায়রা পালনে খুবই অল্প জায়গা দরকার হয়। এমনকি ঝোলানো ঝুড়িতেও পায়রা পালন করা যায়।পায়রা পোষায় খরচের পরিমাণ একেবারেই কম।
৪. পায়রা নিজের খাবার নিজেই খুঁজে খায়। তাই পায়রার খাবারের জন্য বাড়তি খাবারের খুব একটা প্রয়োজন হয় না।
৫. পায়রার জন্য খুব বাড়তি যত্নের দরকার হয় না। বাড়ির আঙিনা বা ছাদে কাঠের ঘর তৈরি করে সহজেই কবুতর পালন করা সম্ভব।
৬. পায়রার ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনেই বাচ্চা ফুটে। এই বাচ্চা আবার পরবর্তী ৫ থেকে ৬ মাস পরে নিজেরাই ডিম প্রদান শুরু করে। ফলে পায়রা প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই বাড়াতে থাকে বংশধরের সংখ্যা।
৭. পায়রা তার বংশবৃদ্ধি করে বলে অনেকেই আজকাল এদিকে ঝুঁকে পড়েছেন। মুরগির মাংসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই পায়রার মাংস বেছে নিয়ে থাকেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct