বিয়ের পর দেশের প্রতিটা মহিলাদের শুনতে হয়, কবে বাচ্চা নেওয়া হবে? তাই কমবেশি সব দম্পতি নতুন অতিথির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অনেকের ঘরে শীঘ্রই খুশির খবর চলে আসে। অনেকের ভবিষ্যতে সন্তান নিতে চান। তাই নিজের ডিম্বাণু তৈরি বন্ধ হওয়ার আগেই তা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারও গন্তব্য ইনফার্টিলিটি সেন্টার। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এখন প্রজননক্ষমতাকে থমকে দেওয়া (ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন) সম্ভব শুক্রাণু, ডিম্বাণু অথবা ভ্রূণ সংরক্ষণের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যজনিত কারণে অথবা নিজেকে ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’-এর ঘোড়দৌড় থেকে বাঁচাতে অনেক তরুণ-তরুণীই এখন বেছে নিচ্ছেন ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন পদ্ধতি। আইভিআই ফার্টিলিটি কেন্দ্রের ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ মৌমিতা নাহা বলেন, 'পুরুষদের শরীর থেকে শুক্রাণু, স্ত্রীদের থেকে ডিম্বাণু আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে পৃথকভাবে আইভিএফের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণ তৈরি করে তা ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হয় একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। দাতা এর পর তার প্রয়োজন মতো সেগুলি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারেন বংশবৃদ্ধির জন্য।’ মোটামুটি ৩৫-বছরের পর থেকে ধীরে ধীরে মেয়েদের শরীরে কমতে থাকে ডিম্বাণু। পুরুষদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা অবশ্য কম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct