একটানা চার মাস আন্দোলন এর পর এবার আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হল শতাধিক আন্দোলন কারি গ্রামবাসী। অপরদিকে ভাঙড়ের জমি আন্দোলন এর জুজু ধরে রাখতে মরিয়া বিরোধীরা।জমি কমিটির মহা মিছিলে উপস্থিত বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ সিপিএম বিধায়করা।
একদা যে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন কারি দের উপর বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম শুক্রবার সকাল দশটার মধ্যে প্রায় শতাধিক আন্দোলন কারি গ্রামবাসীদের নিয়ে কাশীপুর থানায় হাজির হয়। তাঁদের কে নিয়ে থানার বড় বাবুর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। এই সমস্ত আন্দোলন কারিরা কাশীপুর থানায় আরাবুলের সঙ্গে গিয়ে বলেন, আমরা এই আন্দোলন এর সঙ্গে আর থাকব না। আমরা এখন সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাই।
গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করানোর কারিগর আরাবুল ইসলাম তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরে নকশাল, মাওবাদী নেতা অলীক চক্রবর্তী এর নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে যে আন্দোলন চলছিল তা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়ে আজ আমার হাত ধরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে শতাধিক গ্রামবাসী, আগামী দুই একদিনের মধ্যে শতাধিক আন্দোলন কারিরা ভুল বুঝতে পেরে মুল শ্রোতে ফিরে আসবে । তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত গ্রামবাসী আন্দোলন ছেড়ে বেরিয়ে আসছে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব এবং নকশাল মাওবাদী দের হাত থেকে রক্ষা করব।
সকালে আরাবুল ইসলামের পর বিকালে তৃনমূল নেতা কাইজার আহমেদ এর হাত ধরে প্রায় দুই থেকে আড়াইশো জমি আন্দোলন কারি গ্রামবাসীরা কাশীপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।সেখানে আন্দোলন এর শক্ত গাঁট খামারআইট, মাছিভাঙা পদ্মপুকুর সহ একাধিক গ্রামের সাধারণ মানুষ মূল শ্রোতে ফিরতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। এদিনের এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়াতে তদারকি করেন, তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম,হবিবর রহমান ও মাসুদ মাষ্টার। এদিন কাইজার আহমেদ বলেন, আমরা মানুষ কে ধমকে চমকে আন্দোলন ভাঙ্গছিনা, মানুষ কে ভালোবাসা দিয়ে এবং উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে কাছে টানছি এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct