আজ মঙ্গলবার বিকালেই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন। কিন্তু তৃণমূল সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন। এবার সতর্কভাবে একেবারে সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত করে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে। ১২ জনের কমিটি করা হলেও মমতার পছন্দের প্রার্থীকেই তারা সিলমোহর দেবেন।
জানা গেছে, গতবারের বেশ কয়েকজন প্রার্থী এবার টিকিট পাচ্ছেন না। আগেই দল ছেড়েছেন সৌমিত্র খান, বহিষ্কার করা হয়েছে অনুপম হাজরাকে। এরা বাদে যেসব সাংসদ টিকিট পাচ্ছেন না সেই তালিকায় অনেকেই রয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায় ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া মুর্শিদাবাদে প্রার্থী করা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ধন্দে রয়েছে। কারণ সেখানকার প্রায় সব কংগ্রেস এখন তৃণমূলে। তাই তাদের মধ্যে করে কাকে কাকে মুর্শিদাবাদ জেলার তিন কেন্দ্রে প্রার্থী করা হবে সেটা এখনো নাকি চূড়ান্ত হয়নি।
অন্যদিকে যেসব সাংসদ মুকুল রায়ের সঙ্গে সামান্যতম যোগাযোগ রেখেছেন তাদেরকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
বেশিরভাগ জেলা থেকে আসা নাম মমতা অনুমোদন করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে বিব্রত বসিরহাট কেন্দ্র নিয়ে। এখানে সাংসদ ইদ্রিস আলী বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রাক্তন সংসদ হাজী নুরুল ইসলাম। তাই এখানে তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে পুরশুরার বিধায়ক ডা. এম নূরুজ্জামানকে দেওয়া হতে পারে। এর আগে তিনি ডিগঙ্গা থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। দিদির কথামতো অন্য জায়গা থেকে লড়াই করেও জিতে দেখিয়েছেন। আবার তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ। তাই নূরুজ্জামানকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে জেলা থেকে আপত্তি হলে সদ্য দলে আসা সিপিএমের প্রাক্তন সংসদ মইনুল হাসানকে প্রার্থী করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
দীনেশ ত্রিবেদিকে রাজ্য সভায় পাঠানোর ভাবনা থাকায় সেখানে প্রার্থী বদল হতে পারে। প
আসানসোলে এবার প্রার্থী হিসেবে মলয় ঘটকের নাম সবচেয়ে আগে আছে। তৃণমূলের নজর কি করে বিজেপির আসন দুটি দখল করা যায়। দার্জিলিং নিয়ে যেহেতু তৃণমূল নিশ্চিত তাই নজর আসানসোলে। সেখানে এমনিতে বেকায়দায় বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না তৃণমূল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct