নোবেল পুরস্কারের তালিকা করার আগে একটা প্রাথমিক তালিকা রূপায়ণ হয়। সেই খসড়া তালিকায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নাম রয়েছে বলে দাবি করল এক মার্কিন পত্রিকা।আমেরিকার ‘খ্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর’ নামের পত্রিকাটি লিখেছে, নোবেল কমিটি সম্ভাব্য নোবেল প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করেছে নোবেল কমিটি তার মধ্যে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নাম। শান্তিতে নোবেল দেওয়ার তালিকায় ইমরানের নাম রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই পত্রিকায়।তবে, ‘খ্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর’গত ৫ মার্চ প্রকাশিত ‘এ স্টার্টিং লিস্ট ফর পিস প্রাইজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে নোবেল কমিটির প্রাথমিক নোবেল প্রাপকদের যে তালিকার কথা বলেছে তাতে শান্তিতে নোবেল প্রাপকদের তালিকায় ইমরান ছাড়াও যেসব ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট মুন জায়ি। এছাড়া অন্যান্যরা হলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ, ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেতা জুয়েন গুয়াইডো প্রমুখ।
পত্রিকাটি আর বলেছে, পুলওয়ামা হামলা ও পরবর্তীতে বালাকোট হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। এর কারেণ পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় বায়ুসেনা অভিনন্দনকে বিনা মর্তে মুক্তি দেওয়া। এটাকে শান্তির পক্ষে ইমরানকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে পত্রিকাটির মত। তাদের মতে, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সম্ভাব্য যুদ্ধ নিরসনে ইমরান খান যে অবদান রেখেছেন তার জন্যই শান্তিতে নোবেল প্রাপএকদর খসড়া তালিকায় ইমরানের নাম এসেছে।
উল্লেখ্য, বালাকোট সীমান্তে বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দনের মিগ ২১ বিমান ভেঙে পড়ায় জরুরি অবতরণ করতে হয়।সামান্য ভুলে পাক সীমান্তে চলে আসায় পাক সেনারা তাকে আটক করেছিল। পরে ভারতের চাপে পড়ে পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ইমরান খান।যদিও ইমরান বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপনে তার এই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরানকে নোবেল দেওয়ার জোর দাবি ওঠে। যদিও ইমরান খান বলেছিলেন, তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য নিন। যিনি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবেন তিনিই শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তাই মার্কিন মিডিয়ার দাবি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct