বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় ঠিক কতজন মারা গেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। একদিকে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে তারা নিহতদের সংখ্যা গোনে না। আবার অমিত শাহ বলছেন ৩০০ জঙ্গি মারা গেছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল জানান, জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে হামলায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অভিযানে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা জানানি। যদিও
জঙ্গি শিবির পুরো ধ্বংস হয়েছে। অপরদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে জঙ্গি শিবির নিয়ে খাঁটি হয়েছে পাইন গাছের। এ নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ করেছে। তবে তার আগে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর সাংবাদিকরা কিছু ছবি তুলে ধরে জানিয়েছিল জঙ্গি শিবির নয়, গ্রামের মধ্যে আঘাত হেনেছিল বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান। এমনকি তারা যে ঘটনাস্থলে গেছিল তার প্রমাণ পেশ করে। এরপর কিছুদিন কেটে যেতে আর রয়টার্সের সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে দিতে চাইছে না পাকিস্তান। বিতর্ক জিইয়ে রেখে বালাকোটের সেই স্থানে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিল পাক প্রশাসন। জানা গেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের এই নিয়ে তিন বার আটকাল। ফলে প্রকৃতপক্ষে সেখানে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা আদৌ কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে অদূর ধোঁয়াশা আরো বেড়ে গেল। বালাকোটে ধ্বংসের বহর নিয়ে চাপান উতোর বন্ধ করতে রয়টার্স আরো সক্রিয় হয়েছিল। তাদের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বালাকোট হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকা য় প্রবেশ করেনি। তারা বাইরে থেকে যা দেখেছে সেটাই তুলে ধরেছিল। কিন্তু ভারত ক্রমাগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দাবি করে রয়টার্সের সাংবাদিকদের দল এবার পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন করতে চায়। এলাকার মধ্যে গিয়ে ঠিক সমগ্র ক্ষয় খাতির খতিয়ান তুলে ধরতে চায়। রয়টার্সের এই ইচ্ছায় বাদ সেধেছে পাকিস্তান।
বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ু সেনা মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানে ১০০০ কেজি বোমা ফেলেছিল বলে দাবি।
ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর থেকেই সাংবাদিকরাও নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ওই ঘাঁটিতে ঢোকার। কিন্তু ইসলামাবাদে মিলিটারি প্রেস উইং-এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ওই এলাকায় ‘নিরাপত্তার কারণে’ বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর আগে দু’বার রয়টার্সের তরফে আনুমোদন চাওয়া হলে নাকচ হয়ে যায়। শুক্রবার ফের রয়টার্সের প্রতিনিধিরা ভিতরে ঢোকার জন্য ওই এলাকায় যান। কিন্তু তাদের ক্যাম্পের অনেক আগেই আটকে দেয় পাক বাহিনী।
রয়টার্সের বক্তব্য, তাদের সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ মিটার দূরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সেখান ওই এলাকার বাড়ি ঘর অক্ষতই মনে হয়েছিল। সেটাই আলোকে আনা হয়।
কিন্তু এখন ভিতরে ঢুকে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে চাইলে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে তিনবার আটকানো হল গত ৯ দিনে।এর পিছনে কি কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধন্দে তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct