পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ভারতের দুটি মিগ ২১ বিধ্বস্ত হওয়ার পরই শোনা যাচ্ছে, আগামীদিনে যুদ্ধ পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে চলেছে এই যুদ্ধবিমান। জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জেরে পাকিস্তানে গিয়ে হামলা চালাতে গিয়েছিল ভারতের মিগ ২১। কিন্তু পাকিস্তানের হামলায় দুটি মিগ ২১ বিধ্বস্ত হয়। গ্রেফতার হন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। অনেকটা আগের আমলের নকশায় তৈরি হলেও মিগ ২১ ছিল হামলার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। টার্গেটে হামলা চালিয়ে ধরা না পরে ফিরে আসার মতো গতি ও যোগ্যতা রয়েছে এ বিমানটির। ফলে ভারতের কাছে খুবই প্রিয় ছিল এ মিগ ২১। ফলে যে কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনায় অন্যান্য মডেলের পাশাপাশি থাকত মিগ ২১-ও। কিন্তু এখন হিসেব পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। পাকিস্তানে দুটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুদ্ধবিমানটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুদ্ধের মহড়া নয়, আসল যুদ্ধে কি শত্রুকে ঘায়েল করার মতো সক্ষমতা আছে ১৯৫০-এর দশকে নির্মিত এ বিমানটির? যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ লেগেই যায়, তাহলে পাকিস্তানের এফ-১৬-এর মোকাবেলায় কতটুকু কার্যকর হবে এই মিগ?
এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, মিগ ২১ সরে গিয়ে এসব হামলায় জায়গা করে নিচ্ছে তেজস বিমান। লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস ভারতে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এটি তৈরি করেছে। ভারতের দাবি, শব্দের থেকে দ্রুতগামী এবং নিজস্ব মানের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে পৃথিবীর সব থেকে হালকা যুদ্ধবিমান তেজস। এটি ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান। এটি মাল্টি-রোল, সুপারসনিক এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ফাইটার জেট। এই বিমানের ডিজাইন, গবেষণা এবং নির্মাণ পুরোটাই ভারতে হয়েছে। ছোট এবং হাল্কা হওয়ার ফলে একদিকে যেমন একে শত্রুরা সহজে টার্গেট করতে পারবে না, অন্যদিকে, আকাশে একে ধাওয়া করাও বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।