সবসময় যৌনতা কিংবা নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে থাকেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার সে পথে না গিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বদা তৎপর নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তার ব্যতিক্রম হল না। ভারত পাকিস্তানকে নিয়ে নিজের মন্তব্য পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তসলিমা বলেছেন, তিনি
বরাবরই রাজনীতি কম বোঝেন। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছেন না কী ঘটেছে পাকিস্তানে। ভারত দাবি করছে পাকিস্তানের বালাকোটে ১০০০ কিলো বোমা ফেলে জঙ্গি সংগঠন জাইশ-এ মুহাম্মদের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনশ সাড়ে তিনশ জঙ্গি বোমায় মারা গেছে।
তসলিমা আরো লেখেন, বোমা ফেলার ভিডিও তো একখানা দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওদিকে পাকিস্তান বলছে জঙ্গলে গিয়ে বোমা ফেলেছে ভারত কিন্তু কেউ মরেনি, এক লোক খানিকটা শুধু জখম হয়েছে। পাকিস্তানের টিভিতে একটি কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা লোককে দেখানো হল।
তাই তার প্রশ্ন, এতগুলো লোক মরলো, হৈ চৈ কোথায়? আহতদের নিয়ে তো হাসপাতালে ছুটোছুটি হওয়ার কথা। কেউ না কেউ তো নিহতদের ছবি আর কোথাও না হোক, অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবে। নাকি পাকিস্তানের সরকার আর মিডিয়া খবর লুকোতে চায়? সন্ত্রাসী ক্যাম্পের কথা প্রকাশ হয়ে যাবে,তাই? বালাকোটের সাধারণ মানুষও কি চুপ করে থাকবে! হয়তো কাউকেই ধারে কাছেই যেতে দিচ্ছে না এখন! একটা গণকবর খোঁড়া হচ্ছে! ইন্টারনেটে কোনও খবর বা ছবি কিছুই খুঁজে পেলাম না।
তার আরও মন্তব্য, ভারতের মানুষ খুশি, বদলা নেওয়া গেছে। পাকিস্তানের মানুষ খুশি, ভারত কাউকে মারতে পারেনি। মানুষ খুশি থাকলেই ভালো। খুশি থাকো, মিলে মিশে থাকো। সন্ত্রাস কোরো না, মানুষ মেরো না। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই হলে আমার শুধু মনে হয়, ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই হচ্ছে। একসময় তো একই দেশের মানুষ ছিল। দেশভাগ করেই শত্রুতা বাড়াল। ভারতকে এখন সন্ত্রাসী প্রতিবেশীদের নিয়ে বাস করতে হয়। দেশভাগ না করলে এত মুসলমান কি জঙ্গি হত? তসলিমার মতে, একটা গণতন্ত্রের মধ্যে থাকা আর একটা ধর্মীয় দেশে থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে।