চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে।সব মিলিয়ে আগামী দু'মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। তার প্রচারও দেশের সর্বত্রে এরইমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদিন দেশের সংবাদমাধ্যম প্রচার করছিল, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও বড় জয় তুলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়বে বিজেপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসার অঙ্ক মেলাতে পারছিল না। ঠিক সেই সময়ই ঘটল কাশ্মীরে আধা সামরিক বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলা। যার ফলে প্রায় ৪৯জন জওয়ান শহিদ হলেন। আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে এই হামলার কোনও যোগ আছে কি না, সে ব্যাপারে এখন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকেই। কেউই অস্বীকার করছে না, এই ঘটনার বিপুল প্রভাব পড়বে নির্বাচনীতে। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে উত্তেজক জাতীয়তাবাদী আবেগের ঢেউ বইছে। যা বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে বেশ খাপ খায়। যেটা মাথায় রেখে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক অভিযোগ করেন, লোকসভা ভোটের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা করিয়ে বিজেপি আদতে দেশবাসির আবেগকে নিয়ে ছেলে খেলা করলো। এটা শুধু তাদের ভোট টানার কৌশল। দেশের সেনার মৃত্যুর জন্য মোদি সরকারই দায়ী । ওই তৃণমূল নেতার দাবী, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের ক্ষমতাসীন দলের পুনর্নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।এযাবৎকালের লোকসভা নির্বাচনে দুই–তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীনদের পরাজয় ঘটেছে। এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমেই আঞ্চলিক দলগুলোর শক্তি-সামর্থ্য বাড়ছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহুমুখী হওয়া মাত্রই ৫ শতাংশ ভোটারের পক্ষ পরিবর্তনে বহু আসনের হেরফের হয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct