দ্বীপপুঞ্জের নাম কেপ ভার্দে। যার অবস্থান আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমে আটলান্টিকের বুকে।এটি অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে ঘেরা। এই দেশের দ্বীপগুলো, আর তা থেকে অগ্ন্যুৎপাতও হয়ে থাকে নিয়মিত।
সম্প্রতি কেপ ভার্দেতে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নি:সরণের পর তা থেকে নিচের গ্রামগুলি ভেসে যায়। লাভার স্রোত ঢুকে পড়েছে বহু লোকের বসার ঘরে পর্যন্ত। কিন্তু তারপরও তারা সেই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে চাইছেন না। এদিন ব্রিটিশ প্যারাঅলিম্পিয়ান অ্যাথলিট এড অ্যাডেপশিয়ান দেখা করতে গিয়েছিলেন কেপ ভার্দের এমনই একজন বাসিন্দার সঙ্গে। একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাদদেশে কেউই থাকতে রাজি হবে না। অথচ কেপ ভার্দের অনেক লোকজন কিন্তু ঠিক সেটাই করছেন। তাদেরই একজনের বাড়িতে গিয়ে একেবারে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্যারা-অ্যাথলিট এড অ্যাডেপশিয়ান। রামিরোর বাড়িতে ঢুকেই তিনি দেখেন, ড্রয়িং রুমের জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েছে জমাট লাভাস্রোত। বিস্ময় চাপতে না-পেরে তিনি বলে ওঠেন, 'এটা কী করে সম্ভব? এ তো অবিশ্বাস্য! দেওয়ালে পর্যন্ত ফাটল ধরে গিয়েছে লাভার চাপে।' ওই বাড়ির মালিক, রামিরো বলেন, 'আমি আসলে জীবনে দু-দুবার সাঙ্ঘাতিক অগ্ন্যুৎপাত দেখেছি - দেখেছি কীভাবে গরম ফুটন্ত লাভার স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু বিশ্বাস করুন কখনও দেখিনি সেই অগ্ন্যুৎপাতে কাউকে মারা যেতে - আর সেটাই আমাকে এখনও এই গ্রামে রয়ে যাওয়ার ভরসা জুগিয়েছে, আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।'
অবাক করার মতো কাণ্ড। ২০১৮ সালের শেষ তিনমাসে নাকি প্রায় ৩০০ মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করেছে। মার্কিন সেনা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিলিটারি ডটকম এই তথ্য জানিয়েছে। মিলিটারি ডট কম বলছে, গত বছরের শেষ তিন মাসে ২৮৬ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে মেরিন ৫৭ জন, নাবিক ৬৮ জন, বিমান বাহিনীর ৫৮ জন এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য ১০৩ জন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এই বিষয়ে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্ত আত্মহত্যার এই প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী মার্কিন সেনারা কি বিবেকের দংশনে জর্জরিত? তারা কী তাহলে মানুষ হত্যার মর্মপীড়ায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।