সরাসরি গরুর খামার থেকে সংগ্রহ করা দুধে পাওয়া গেল কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক সিসা। এদিন ঢাকায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল ফুড সেইফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) আইএসও সনদ অর্জন এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবারের মানসম্পর্কিত গবেষণায় এই সব তথ্য উঠে এলো। সম্প্রতি এনএফএসএল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহযোগিতায় গরুর খাবার, দুধ, দই, প্যাকেট দুধ নিয়ে এক সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। এ জন্য ঢাকাসহ তিন জেলার ছয় উপজেলার ১৮ স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে গরুর খাবার ও দুধ সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত ৯ % দুধের নমুনায় কীটনাশক, ১৩% দুধে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫% দুধে পাওয়া গেছে বেশি মাত্রার সিসা এবং ৩ % দুধে পাওয়া গেছে আফলাটক্সিন। এছাড়া প্যাকেট দুধেও পাওয়া গেছে টেট্রাসাইক্লিন ও বেশি মাত্রার সিসা। প্যাকেট দুধের ৬৬-৮০ % প্যাকেটে অণুজীব পাওয়া গেছে। দইয়ের নমুনার ৫১%-এ অণুজীব পাওয়া গেছে। এগুলি মূলত গরুর দেহে পৌঁছেছে তাদের খাবারের মাধ্যমে। সেখানকার গো-খাদ্যের শতকরা ৬৯ থেকে ১০০ ভাগে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কেমিক্যালের মধ্যে আছে পেস্টিসাইড, ক্রোমিয়াম, টেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লেক্সাসিন, সিপ্রোসিন ও আলফাটক্সিন। সেই সঙ্গে গাভীর দুধ, প্যাকেট দুধ ও দইয়ে বিভিন্ন পরিমাণে পেস্টিসাইড, টেট্রাসাইক্লিন, সীসা ও বিভিন্ন অনুজীব পাওয়া গিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct