২০১৩ সালে তিনি বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে মুসলিম ও অমুসলিম মহিলারা মাথায় স্কার্ফ পরার রীতি চর্চা করেন। ওই দিনটি পালন করা হয় ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশের জন্য। হিজাব শুধু ধর্মীয় কারণে নারীরা পরেন না। এর আরো কিছু কারণ আছে, যা সময়ের সঙ্গে, সামাজিকতার সঙ্গে পরিবর্তন হয়। মাথায় স্কার্ফ পরার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আছে। বহু মহিলা যারা এভাবে মাথা ঢেকে রাখেন। তারা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে সঁপে দেওয়া হয়। বর্তমানে অনেক মহিলা তাদের জাতিগত পরিচয়কে গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করতে হিজাব পরিধান করেন। এমনটা বেশি ঘটে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ক্ষেত্রেও।
আমেরিকার আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন মুসলিম মহিলারা মাঝেমধ্যে হিজাব পরেন। এটা দিয়ে তারা বোঝাতে চান তাদের ধর্মীয় আনুগত্য। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত সব মার্কিনিই যে খ্রিস্টান এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। তারা এ পোশাক পরে সেই ধারণাকে দূরীভূত করতে চান। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে শতকরা ১৩ ভাগই হলেন মুসলিম। আবার অনেকে ক্ষেত্রে বহু নারী তাদের সৌন্দর্য্যকে ঢেকে রাখার বিরোধিতা করে মাথায় স্কার্ফ পরেন। কারণ, তাদের সেই সৌন্দর্য্যকে প্রদর্শন করার দাবি রয়েছে। এমন নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, পুরুষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসব পোশাক সরিয়ে ফেলা সমান অধিকার নয়।
গবেষকদের মতে, যেসব মহিলা হিজাব পরে তারা মনে করেন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের চেহারার ওপর গুরুত্ব না দিয়ে যোগ্যতা দেখা। তাই হিজাব হলো তাদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির একটি মাধ্যম। কিন্তু পশ্চিমা দেশে, যেসব মহিলা স্কার্ফ বা হিজাব পরেন তাদের কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত, কিছু নারীর কাছে মাথায় স্কার্ফ পরা হলো স্বস্তিকর। কর্মক্ষেত্রে, রাস্তায় এবং প্রকাশ্য স্থানে বিব্রতকর মন্তব্যের শিকার হওয়া কমিয়ে দেয় এমন পোশাক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct