গৃহযুদ্ধের ২০ বছর শান্তির খোঁজে আজ রবিবার বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নেপালে। সকাল থেকে্ই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনকে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পথচলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় তিনটি প্রদেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এসব অঞ্চলে ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। ২৮৩টি স্থানীয় পৌরসভায় মেয়র, উপমেয়র, ওয়ার্ড চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য পদে ভোট গ্রহণ চলছে। এসব পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ৮৭৮ জন।
নেপালে দুই দফায় এ নির্বাচন হবে। তবে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু মাধেসি জাতিগোষ্ঠী সংবিধানের সংশোধনী না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতার কথা বিবেচনা করে বাকি চারটি প্রদেশে আগামী ১৪ জুন দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে।১৯৯৭ সালে দেশটিতে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় নির্বাচিত সরকার প্রতিনিধিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০০২ সালে। নেপালে ২০০৪ সালে একটি শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে সরকার ও মাওবাদী বিদ্রোহীদের ১০ বছরব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটে। পরে মাওবাদীরা নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তোলেন। ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁরা সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০০৮ সালে দেশটির ২৪০ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক মতবিরোধের কারণে পার্লামেন্টে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা বারবার ভেস্তে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct