সারাদিন নগ্ন হয়ে ধ্যান করা, খাওয়া, ঘুমানো এবং শ্মশানে চারিদিকে চিতায় পুড়তে থাকা লাশের পাশেই ঘুরতে থাকেন এরা। মানুষের মাংস খান এবং নরকংকালের খুলি থেকে পান করেন। সময় সুযোগ বুঝে গাঁজায় টানও দেন। কুম্ভমেলার সময় তাদেরকে কেবল জনসমক্ষে দেখা যায়। এদের বলা হয় অঘোরি সাধু। বাস্তবে এই অঘোরিদের জীবনযাপনের কাহিনী মানুষের মধ্যে ভীতি, কৌতুহল এবং ঘৃণা তৈরি করে। অনেক অঘোরি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে যে তারা মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম করেছে। তবে তাদের সমাজেও যৌনসম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নিষেধের বেড়াজাল আছে।
এই সাধুদের নিয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান এন্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক জেমস ম্যালিনসন। তিনি নিজেও একজন মহান্ত বা গুরু। তিনি লন্ডনে 'সংস্কৃত এন্ড ক্লাসিকাল ইন্ডিয়ান স্টাডিজ'-এ পড়ান। এক প্রতিক্রিয়ায় জেমস ম্যালিনসন বলেন, 'অঘোরি সাধুদের এসব রীতির মূল কথা হল, তারা অ্যাধাত্মিক মুক্তিলাভের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে এক হতে চান। আর সেজন্যে তারা বিশুদ্ধতার সূত্রের সীমা ছাড়িয়ে যেতে চান। যা কিছুই নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত, তার সব অঘোরিরা ভঙ্গ করতে চায়। সনাতনী ভালো-মন্দের যে ধারণা, সেটা তারা প্রত্যাখ্যান করে। যে পথ ধরে তারা আধ্যাত্মিক সাধনায় লিপ্ত হয়, সেটা পাগলামি এবং বিপদজনক বলে মনে হবে। এরা মানুষের মাংস খায়, এমনকি নিজেদের মল খায়। কিন্তু তারা মনে করে এই কাজ করে তারা চেতনার একটা উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছায়।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct