মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক প্রস্তুতি ২০২৩(ভূগোল)
অধ্যায় - ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ
সৌনাভ মান্না
শিক্ষক, একাডেমিক এসোসিয়েশন
_______________________________________
প্রশ্নমান -২/৩
১. চিরহরিৎ বৃক্ষ গুলির নাম লেখো? উত্তর:- রবার, আয়রনউড, রোজউড, মেহগিনী, গর্জন, চাপলাস, তুন, পুন্, চাপলাস, শিশু, এবনি, আবলুস, লায়না, বাঁশ, বেত, সিংকোনা, তেনাসুর, রেটন ইত্যাদি।
২. ক্রান্তীয় পর্ণমচি অরণ্যে নাম গুলি লেখো? উত্তর :- আদ্র পর্ণমচি বৃক্ষ :- সাল, ধুপ, বাদাম, সেগুন, অর্জুন, চিকরোশি, তুত, কাজু, হলুদ,, পলাশ, কোকো, মহুয়া, শিমুল, চন্দন, আমলা, লাউ, বেল, গাম্বার ইত্যাদি। শুস্ক পর্ণমচি :- কেন্দু, পলাশ, বেল, কুল, মহুয়া, লাও, ছাতিম, বাবলা, সিসল, শিমুল, খয়ের, ইত্যাদি.
৩. ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদের নাম লেখো? উত্তর :- ফনিমনসা, একসিয়া, বাবলা, খেজুর, নিম, তাল, পলাশ, বেরি তেশিরা, ইউফোরবিয়াশ, ইত্যাদি।
৪. পার্বত্য আদ্র নাতিশীতশ্ন উদ্ভিদের নাম লেখো? উত্তর :- লরেল, মাপল, পাইন, ওক, দেবদারু, তাল, বিচ, বার্চ,এলোম, হেমলক, মাগলেনিয়া,, ভারতীয় চেষ্টানাট, ইত্যাদি।
৫. সরলবর্গীয় উদ্ভিদের নাম লেখো? উত্তর - পাইন, ফার, বার্চ,বিচ,পপলার, উইলো, লিডার, দেবদারু, ইত্যাদি
৬. ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের নাম লেখো? উত্তর :- সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা, হেতাল, পিটুলি, গোলপাতা, কেওড়া, ছাতিম, কেয়া, বনতুলসী, ইত্যাদি।
৭. হিমালয় অঞ্চলের বৃক্ষ গুলির নাম কি কি? উত্তর :- আদ্র নাতিশীতশ্ন উদ্ভিদ:- ওক, ফার, পাইন, সিডার, রুপালি ফার, রডোড্রেন্ডন, বাঁশ, লরেল। শুষ্ক নাতিষিতশ্ন - দেবদারু, ওক,অ্যাশ, মাপল, জলপাই, সিডার। আলপিয় অরণ্য :- ফার, তাল, রডোড্রেন্ডন, স্প্রেশ
৮. কৃষি বনসৃজন কি? উত্তর :- কৃষকরা যখন নিজের জমিতে কৃষি ফসল উদপাদনের পাশাপাশি কাঠ, ফলমুল, ঔষধ, সবুজসার ইত্যাদি উদপাদনের উদ্দেশে গাছপালা লাগান, তাকে বলে কৃষি বনসৃজন।
৯. সামাজিক বনসৃজন কি? উত্তর :- নির্দিষ্ট অরণ্যে সীমানার বাইরে পতিত বা অব্যবহৃত জমিতে গাছ লাগনোর মাধ্যমে বন সৃষ্টির উদ্যোগ কে সামাজিক বনসৃজন বলে।
১০. অরণ্য সংরক্ষণ কি? উত্তর - অরণ্য সংরক্ষণ হলো যার দ্বারা সুপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে অরণ্য সম্পদ কে রক্ষা করা হয় এবং মানুষ তার নিত্যপ্রয়োজনিয় দ্রব্য গুলি বনভূমি থেকে পেতে পারে।
১১. যৌথ বন ব্যবস্থা কি? উত্তর - সরকার বা বনদপ্তর এবং স্থানীয় জনগণের যৌথ উদ্যোগে মাধ্যমে বনসংরক্ষণ এর ব্যাবস্থা কে বলে যৌথ বন ব্যাবস্থা। ভারতে প্রথম এই ব্যাবস্থার প্রবতন করেন ড. অজিত ব্যানার্জি। যেমন - পশ্চিমবঙ্গ এর পশ্চিমবঙ্গ মেদিনীপুর জেলায় আড়াবাড়ি বনাঞ্চলে গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালে এখানে Forest protector’s committee গড়ে উঠেছে।
১২. ম্যানগ্রোভ অরণ্য কি? উত্তর :- সমুদ্র উপকূলের বিশেষত নদী মোহনায় লবনাক্ত কাঁদাময় মাটিতে শাসমুল, ঠেসমুল বিশিষ্ট এক বিশেষ ধরণের চিরসবুজ উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায় যাকে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলা হয়। বলা বাহুল্য, “সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ম্যান” নাম পরিচিত বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষক উমা শঙ্কর মন্ডল।
১৩. জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম কি? উত্তর- ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বীজ গাছে থাকা ফলের মধ্যেই অংকুরিত হয়। কারণ বীজগুলি নিচের জলকাদায় পড়লে নষ্ট হযে যায়। বীজ ফলের জরায়ু তে অংকুরিত হয় বলে একে জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম বলে। যেমন - রাইজোফোরা।
১৪. সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টির কারণ কি? উত্তর :- ১. সমুদ্র সমতলে অবস্থিত সুক্ষ নরম পলিমাটির স্তর দ্বারা গঠিত। ২. মাটি সর্বদা আদ্র ও কর্দমাকতো জোয়ার ভাটার কারণে। ৩. মাটিতে লবন বেশি থাকে বলে লবনাম্বু উদ্ভিদ বা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ জন্মায়।
১৫. ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শাসমুল দেখা যায় কেন? উত্তর :- ১. নরম কাদামাটিতে ম্যানগ্রোভ জন্মায়, মাটি রন্ধ্রবিহীন বলে মাটিতে অক্সিজেন সরবরাহ কম।২. বছরের বেশিরভাগ সময় জলপ্লাবিত থাকে, যার ফলে উদ্ভিদ গুলি জল সরবরাহ করতে পারে না। ৩. তাই ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শাসমুল নির্গত হয় না কাদামাটি ভেদ করে মাটিতে উঠে আসে।নিউমাটফোর অক্সিজেন শোষণ করে।
১৬. ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে ঠেসমুল দেখা যায় কেন? উত্তর - ১. বায়ুপ্রবাহের বেগ ও জোয়ারভাটা থেকে বাঁচার জন্য উদ্ভিদ গুলির কাণ্ডের গোড়ায় দিক থেকে অস্থানিক মূল নির্গত হয়। ২. সমুদ্র উপকলে জোয়ারভাটার স্রোত এর দ্বারা উদ্ভিদ গুলি শিকড় চুত হয়ে পরে।
১৭. সুরক্ষিত অরণ্য কি? উত্তর - যে নিদিষ্ট অরণ্য জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানুষের হস্তক্ষেপ ( পশুচারণ, গাছকাটা, শিকার )নিষিদ্ধ থাকে তাকে বলে সংরক্ষিত অরণ্য। যেমন - পশ্চিমবঙ্গ এর গোরুমারা
১৮.শোলা বনভূমি কি? উত্তর - মধ্য অ দক্ষিণ ভারতে পার্বত্য অঞ্চলে ১৫০০-২০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত আদ্র নাতিশীতশ্ন বনাঞ্চল কে বলে শোলা বনভূমি। যেমন - বার্চ বিচ ওয়ালেট এলোম লরেন্স, রডোডেনড্রন উদ্ভিদ জন্মায়।
১৯. আলপিয় উদ্ভিদ কি? উত্তর - হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ৩৫০০-৪০০০ মিটার উচ্চতায় শীতল জলবায়ুতে যে বিভিন্ন ধরণের তৃণ ও গুঁলমু উদ্ভিদ জন্মায়, তাকে বলে আলপিয় উদ্ভিদ। উত্তর - বার্চ, বিচ জুনিপার জিরোডিনা।
২০. অভয়ারণ্য কি? উত্তর :- যে অরণ্য বন্যপ্রাণীদের বিচরণের জায়গা, তাকে বলে অভযারণ্য। যেমন - জলদাপাড়া ( পশ্চিমবঙ্গ )
২১. কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশে কি? উত্তর - ১. ভূমিক্ষয় রোধ করা অও মাটি সংরক্ষণ। ২. কৃষকের আয় বৃদ্ধি করা। ৩. পরিবেশ দূষণ রোধ করা। ৪. কৃষি জমির পাশাপাশি জমিকে উদপাদনশীল করা।
২২. সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য কি? উত্তর :- ১. জীববৈচিত্র ও বাস্তুতন্ত্র কে বজায় রাখা। ২. পরিতিক্ত, অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার করা। ৩. জ্বালানির কাঠ, ফুল ফল পশু খাদ্যের যোগান দেওয়া। ৪. পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
২৩. সুন্দরবন নামকরণের করণ কি? উত্তর :- ১. ম্যানগ্রোভ অরণ্য গভীর বনভূমি গড়ে উঠেছে যার মধ্যে সুন্দরী গাছের প্রাধান্য দেখা যায়। ২. দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিন দিকে ৪৭০০ বর্গকিমি ওরণ্যময় ভুভাগের নাম সুন্দরবন।
২৪. ভারতের অরণ্যে গবেষণা কেন্দ্রের নাম গুলি লেখো। ১. Forest Research institute -দেরাদুন। ২. Centre for Arid Zone Forestry Research - এলাহাবাদ। ৩. Centre for Forestry Productivity -রাঁচি ৪. Temperate Forest Research centre- ৫. Tropical Forestry Research Institute - জব্বলপুর ৬. Institute of Rain and Moist Deciduous Forest- জোরহাট
২৫. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন কি? উত্তর - নর্মদা নশির ওপর ৩০ টি বড়ো ( সর্দার সরোবর ),১৩৫ টি মাঝারি এবং ৩০০০ টি ক্ষুদ্র বহুমুখী নদী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মেধা পাটেকার ও বাবা আমতে ও অরুন্ধুতি রায় এর সফল নেতৃত্বে যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে বলে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন।
২৬. চিপকো আন্দোলন কি? উত্তর - ১৯৭৩ সালে হিমালয় অঞ্চলে ব্যাবসায়িরা গাছ কাটতে এলে সুন্দরলাল বহুগুনা ও চন্ডি প্রসাদ ভাট এর নেতৃতে পুরুষ মহিলারা গাছ কে জড়িয়ে ধরে গাছ কাঁটা বন্ধ করে দেয় বলে একা চিপকো আন্দোলন বলে। চিপকো কথার অর্থ জড়িয়ে ধরা।
২৭. স্বাভাবিক উদ্ভিদ কি? উত্তর - যে সকল উদ্ভিদ মানুষের কোনো রকম প্রচেষ্টা ছাড়া ও যত্ন ছাড়াই প্রকৃতির জলবাও, মৃত্তিকা, ভুপ্রকৃতির বৈশিষ্ট অনুযায়ী কোনো স্থানে স্বাভাবিক ভাবে জন্মায় তাকে বলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ।
২৮. সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন কি? উত্তর - কেরলের চিরহরিত অরণ্যে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস যা সাইলেন্ট ভ্যালি নাম পরিচিত। এখনকার পেরিয়ার নদীতে জ্বলবিদ্যুৎ পকল্পের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে বলে সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct