দীর্ঘ ৭২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো পাকিস্তানের ১০১ বছর বয়সী যমুনা বাঈয়ের। অবশেষে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন। এতদিন পর তাঁর পরিচয় থেকে মুছে গেল ‘পাকিস্তানি হিন্দু নারী’ তকমা। আর এতেই তিনি হলেন প্রবীণতম ব্যক্তি, যিনি ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করলেন। এর আগে কোনো মহিলা কিংবা পুরুষ এত বেশি বয়সে নাগরিকত্ব পাননি। যমুনা বাঈয়ের জন্ম অবিভক্ত ভারতে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় যমুনা বাঈয়ের বাড়ি ছিল অবিভক্ত ভারতের রাজস্থানে। দেশভাগের পর তাঁর বসতঘর পড়ে পাকিস্তান অংশ। যমুনা পরিবার নিয়ে ভারতের রাজস্থানে আর ফিরে আসেনি। সেখানেই তিনি এক মুসলিম জমিদারের বাড়িতে জমির কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের আটারি-পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন যমুনা। তিনি ঠাঁই নেয় ভারতের রাজস্থানে। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসে যমুনার পরিবারকে সেদিন সুনজরে গ্রহণ করেনি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের প্রশাসনও। নানা প্রশ্নে জর্জরিত করা হয় যমুনাকে।এভাবেই চলছিল। দিশেহারা হয়েই কাটছিল যমুনা বাঈদের জীবন। এর মাঝে ২০১৫ সালে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেন যমুনা । তিন বছর পর ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন যমুনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct