এযেন ছোটবেলার গল্পে শোনা রবীন হুড সে যেমন সারা গ্রামের মানুষদের হয়ে প্রহরী সেজে থাকতেন বিপদে আপদে সকলকে উদ্ধার করতেন ঠিক তেমনি আজ থেকে ২৫ বছর আগের গঙ্গারামপুর শহরের চিত্রা মাত্র ৩ বছরে বদলে ফেলেছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান শহরের মানুষের প্রহরী তথা রবীন হুড প্রশান্ত মিত্র। তিনি জানান, সাধারন মানুষ বা জনগনের টাকা যা দিয়ে চলছে উন্নয়নের কাজ। যে কাজের মান নিয়ে কখনোই কোনোরূপ আপস করা উচিৎ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি প্রকল্পের কাজে নানান দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। রাস্তাঘাট ও বিল্ডিং সহ উন্নয়ন মূলক এই কাজগুলিতে দুর্নীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাধারণ মানুষ তথা দেশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজগুলির নজরদারির দায়িত্ব যাঁদের উপর তাঁদেরও একাংশ অনেক সময় দুর্নীতির ভাগিদার হয়ে যান। কিন্তু এই বাংলারই প্রাচীন জনপদ গঙ্গারামপুরে এর ঠিক উল্টো চিত্রই ধরা পড়েছে। গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে এলাকায় শুরু হয়েছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের নেতৃত্বে এই মুহূর্তে প্রায় তিন কোটি টাকার কাজ চলছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। কোথাও রাস্তা নির্মাণ। কোথাও ড্রেইন তৈরির কাজ। এর বাইরেও রয়েছে শিশু উদ্যান মাতৃসদন ও গ্রিনসিটি প্রকল্পের কাজ। সদ্য সম্পন্ন ও নির্মীয়মান যে কাজগুলির মাধ্যমে অতীতে অনুন্নয়নের প্রতীক বলে পরিচিত গঙ্গারামপুর শহরের বর্তমান চিত্রই পাল্টে গিয়েছে। নাগরিকদের মতে এর সবটাই সম্ভব হয়েছে প্রশান্ত মিত্রের নেতৃত্বে টিম গঙ্গারামপুর পুরসভার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে। পুর পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজে জনগণের অটুট আস্থায় যাতে কোনোরূপ দাগ না পড়ে তার জন্য চেয়ারম্যান স্বয়ং বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্মীয়মান প্রকল্পগুলির কাজের তদারকী করছেন। সিডিউল মেনে কাজগুলি করা হচ্ছে কিনা। ইট বালি সহ ব্যবহৃত সরঞ্জাম গুলির গুণগতমান সঠিক কি না তা সরোজমিনে দেখতে আচমকাই এলাকায় গিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। প্রকল্পের কাজে যুক্ত ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ঠ কর্মীরা যাতে আগাম টের না পান। তার জন্য কোথাও পায়ে হেঁটে কোথাও আবার টোটোতে চড়ে পৌঁছান। কোন কোন কাজে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিছু কাজে ঢিলেমি দেখে তৎক্ষনাৎ ঠিকাদার থেকে শুরু করে আধিকারিকদের এব্যাপারে সতর্ক হওয়ারও নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যানের এই প্রহরীর ভূমিকায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন দীর্ঘ পঁচিশ বছরের পুরাতন এই পুরসভায় তাঁর মেয়াদ সবে তিন বছর পূর্ন হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সমস্ত এলাকায় উন্নয়নের কাজ পৌঁছে দিয়ে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা পুরসভাগুলির তালিকায় পৌঁছে দিয়েছেন গঙ্গারামপুরের নাম। এখনও বহু কাজ বাকি রয়েছে। শুধু রাস্তা ড্রেন বা পানীয় জলের ব্যবস্থা করাই নয়। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও মহিলাদের স্বনির্ভর করার ব্যাপারেও বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজ গুলি সবই স্বচ্ছতার সাথে করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। এবিষয়ে কোন রকমের অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে তিনি আপস করবেন না বলেও জানিয়েছেন। চেয়ারম্যানের এহেন কাজে খুশি শহরবাসীরা উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে হাসি ফুঁটেছে তাদের মুখে, প্রশান্ত মিত্রের কাজকে বাহবা দিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্টরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct