পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ভারত উভয় দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। ইমরান খানের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ভারত জানিয়েছে, আলোচনায় বসার মত পরিবেশ সৃষ্টি হতে দিচ্ছে না পাকিস্তান নিজেই। ইসলামাবাদের দাবি, তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তার কোনও চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সন্ত্রাস দমন না করে উল্টে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে আসছে তা প্রমান করতে ভারত বেশকিছু নির্দিষ্ট ঘটনা তুলে ধরেছে। আর জানিয়েছে, এতেই প্রমানিত হয় পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের মদদ দেয় এবং এ কারনেই আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক ভারত।
প্রথমত, গত বছরের ১৬-১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি জামায়াত উদ দাওয়াহ (জেইউডি) নেতা ও জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী হাফিজ সাইয়িদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
দ্বিতীয়ত, ২০১৮ সালের নভেম্বরে জেইউডি একটি রেসকিউ সেন্টার চালু করে যেখানে স্থানীয় পিটিআই নেতার সাহায্য রয়েছে। ভারত এটিকে জেইউডির প্রতি পাকিস্তান সরকারের সমর্থন মনে করছে।
তৃতীয়ত, ইতিমধ্যে জেইউডি ও এর এনজিও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা ধরে রাখতে পাকিস্তান সরকারের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তারা আইনে পরিনত করতে এটিকে পার্লামেন্টেও উত্থাপন করেনি।
চতুর্থত, পাকিস্তানে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা ও ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সায়িদ সালাউদ্দিন গত অক্টোবর মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের সাহায্যের আহবান জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct