আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে মোবাইল ফোন এখন ঘরে ঘরে। কম্পিউটার সাম্রাজ্যের পর বিশ্বজুড়ে এখন চলছে মোবাইলের রমরমা। ফলে বেড়ে চলেছে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য-এর বহর। কলকাতা শহর শুধু নয় গ্রামবাংলায় এখন পরিত্যক্ত ইলেক্ট্রনিক পণ্য নষ্ট করার কোনো উপায় থাকছে না। এই ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে যে বিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে তা ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগে ভাবা হত শুধু কম্পিউটারের মাদার বোর্ড বা অন্য সামগ্রী বিপদের কারণ। এখন পুরানো মনিটর নষ্ট করতে না পারায় সেটাও দুশ্চিন্তা দেখে আনছে। একইভাবে স্মার্ট ফোনের দাপটে হারিয়ে যাওয়া পুরানো মোবাইলের বর্জ্য যাথেষ্টচিন্তায় ফেলছে পরিবেশবিদদের। এর ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবুজ। সেই আতঙ্কের কথা উঠে এসেছে
হলিউডের ছবি ‘ওয়াল-ই’ তে। ই-বর্জের যে কি পরিণতি হতেপারে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে। শুধুমাত্র নষ্ট হওয়া বা পরিত্যক্ত ইলেক্ট্রনিক পণ্যের বিষের কারণে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চলেছে সবুজ। এর প্রভাবে মানুষের বসবাস কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। থেমে নেই আমাদের রাজ্য। সল্টলেক তথ্য প্রযুক্তি তালুকের কথা ভেবে দেখলে শিউরে উঠতে হবে। এবার তাতে যোগ দিয়েছে বাতিল মোবাইলে। সস্তায় ইন্টারনেট সংযোগ হাতের মুঠোয় এখন বিশ্ব। তাই তরুণ প্রজন্ম দিনে দিনে পাল্টাচ্ছে মোবাইল। ফলে অচল পুরানো মোবাইল জমে যাচ্ছে। প্লাস্টিকের মতো তা নষ্ট করা যাচ্ছে না। ফলে ই বর্জ্যের পাহাড় হচ্ছে।
এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের এক গবেষণা তথ্যেজন গেসিগে, শুধু মাত্র গত বছরই বিশ্বে ই-বর্জের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি টন। যা ২০১৭ সালের থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ হার বেশি। যদি বিগত ১০ বছরের কথা ধরা হয় তাহলে গত ১০ বছরের ই-বর্জ্য বেড়েছে ৫০০ গুণ। এটা জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই চিন্তা চলছে কিভাবে মোবাইলের ই বর্জ্য নষ্ট করা যায়। কারণ পড়ে থাকা বা নষ্ট মোবাইলের মতো ই বর্জ্য শরীরের বিপদ।