বাজারে বহুল প্রচারিত প্রসাধনী দ্রব্যগুলির উপরেই সবার নজর থাকে৷ অথচ অনেক প্রাকৃতিক ভেষজ ব্যবহার তার থেকে বরং ভাল ফল দেয়৷ এমনিতেই প্রসাধন সামগ্রীর দাম শুনলে অাঁতকে উঠতে হয়। আর দামের কথা বাদ দিলেও রাসায়নিক প্রসাধনী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত নয়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়েও সহজেই নিজের রূপকে অপরূপ করে তোলা যেতে পারে। অার তে যেমন খরচ কম তেমনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।
দৈনন্দিন এইসব ভেষজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হলুদ৷
হলুদের গুণের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রূপচর্চায় হলুদের ভূমিকা অনেক। অতীতে বয়স্করা হলুদ ব্যবহার করতেন। নানান রোগের জন্যে কাঁচা হলুদের রসও খেতেন। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের অবদান অনেক। অনেক ফেসপ্যাক কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি করা হয়। অনেকের গায়ের রং ফ্যাকাসে সাদা। তারা যদি একটু কাঁচা হলুদ বেটে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন স্নান করেন, তাহলে দেখবেন ফ্যাকাসে ভাব নেই। সুন্দর সোনা বর্ণের আভা চলে আসছে দেহে। কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সরও মিশিয়ে নিতে পারেন।
হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। এতে ওয়াক্সিং-এর কাজ হয় ভালো। আগেকার দিনে মা-দাদীরা কাঁচা হলুদ বাটার সাথে নিম পাতা বেটে বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখতেন। তারপর প্রতিদিন বাসি পেটে খেতেন। এতে পেটের দোষ হতো না, লিভার ভালো থাকতো। এতে মুখে লিভার স্পট পড়ে না। অনেক মেয়েলি অসুখেও ফল পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ আখের গুড়ের সাথে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিশোধিত হয় বলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও রূপচর্চায় হলুদের গুরুত্ব অতুলনীয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct