উয়েফা লিগ চ্যাম্পিয়নেরপথে জুভেন্টাস৷ শেষ ১৯৯৬ সাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল জুভেন্টাস। এবার তা উসকে দিল৷ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের ফাইনাল ভাগ্যটা বলতে গেলে লেখা হয়ে গিয়েছিল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে, মোনাকোর মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় ছিনিয়ে আনার পর। পরশু ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বে ফ্রেঞ্চ ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেটা দাপ্তারিক নিয়মে শেষ করলো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। গত তিন বছরে এটি তাদের দ্বিতীয় ফাইনাল।
দুই পর্ব মিলে জুভাদের জয়টা ৪-১ ব্যবধানের। বিজয়ী দলের চার গোলেরই উৎসমুখ ছিলেন প্রাক্তন বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানি আলভেস। প্রথম পর্বেগঞ্জালো হিগুয়েইনকে দিয়ে করিয়েছিলেন দুই গোল। এবার ঘরের মাঠে মারিও মানজুকিচকে দিয়ে করালেন প্রথম গোলটি। পরে বিরতির আগেই ২৫ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে নিজেই স্কোর বোর্ডে নাম লেখান আলভেস। বিরতির পর মোনাকোর হয়ে একটি গোল শোধ দেন ১৮ বছর বয়সী তরুন তুর্কী স্ট্রাইকার কাইলিয়ান এমবাপ্পে। এই মৌসুমে এটি তার ষষ্ঠ গোল। এই গোলের মাধ্যমে আসরের সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতাও বনে যান এমবাপ্পে।
চলতি মরশুমে ঘরের মাঠে অজেয় জুভেন্টাস, গড়েছে টানা ৫১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। বিশ্বের সেরা আক্রমণ নিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি বার্সেলোনা। আসরে টানা ৬২১ মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ডও চোখ রাঙ্গাচ্ছিল মোনাকেকে। তারুণ্য নির্ভর মোনাকোর অভিজ্ঞ জুভাদের বিপক্ষে দুই গোলের ঘাটতি পুরণ করা নিয়ে তাই শংশয় ছিলই। এমবাপ্পের গোল জুভেন্টাসের ৬৯০ মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ডে তাই কেবল যতি চিহ্নই বসাতে পেরেছে, নিজেদের ভাগ্য নতুনভাবে লেখা যায়নি।
এই নিয়ে রেকর্ড নবমবারের মত ইউরোপের সর্বোচ্চ লীগ আসরের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো দুইবারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct