হিরো আলম নামটার সঙ্গে কমবেশি আমরা সাবাই পরিচিত। আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম বাংলাদেশের বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। হিরো আলমের শৈশব বয়সে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি করতে শুরু করেন। তারপরে তিনি স্যাটেলাইট টিভির ব্যবসা ঘুরু করেন। স্যাটেলাইট টিভির ব্যবসা করার সময়েই তিনি নিজের মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সম্প্রচার করতে শুরু করেন। পরে হিরো আলমের মিউজিক ভিডিও ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তিনি খবরের শিরোনামে আসেন।
২০১৬ সালে হিরো আলমের সঙ্গে ছবি তুলে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন করে। যেখানে হিরো আলমকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের তারকা বলে উল্লেখ করা হয়।
সেই ইউটিউব বিখ্যাত হিরো আলম এবার বাংলাদেশের নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা করেন। কিন্তু ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে আপিল করলে মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে। শেষমেশ হিরো আলম আদালতের দরজার কড়া নাড়ে। হাইকোর্ট নির্দেশ দেন তাঁর মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরে শনিবার বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ হিরো আলমের হাতে সিংহ প্রতীক তুলে দেন।
প্রতীক পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পাঁচ দিনের মাথায় অবশেষে সিংহ প্রতীক পেয়েছি। নির্বাচনী মাঠে এখন সিংহের মতোই গর্জন দিতে চাই। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এমপি হতে চাই না, জনগণের জন্য এমপি হতে চাই।’