মায়নমারে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের দ্বারা নির্বিচার ভাবে হত্যা করা হয়েছে সেখানকার রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের। এ কথা আর অজানা নয়। এই অত্যাচারের জেরে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বর্বরতার পিছনে সেখানকার নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়িনী অং সান সু কির ভূমিকা যে ব্যাপক ছিল তা সামনে এসেছে। এর ফলে একের পর এক দেশ তাদের দেওয়া বিভিন্ন খেতাব ও নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে। বাদ যায়নি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
কিছুদিন আগে কানাডা সু কিকে দেওয়া সম্মানজনক নাগরিকত্ব কেড়েছিল। আর তার পরই মানবাধিকার সংস্থাঅ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সু কি কে দেওয়া ‘অ্যাম্বাসেডর অব কনসাইন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার করে নেয়। সেই কেড়ে নেওয়ার তৎপরতার মধ্যে এবার এগিয়ে এল প্রগতিশীল দেশ ফ্রান্স।
সু কিকে দেয়া সম্মানসূচক প্যারিস শহরের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। পারিসের মেয়র অ্যান হিদালগো মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের দায়ে অভিযুক্ত করে সু কিকে দেওয়া পদক ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দিন কয়েক পারে সিটি কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ার জন্য অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হবে জানিয়েছেন মেয়রের মুখপাত্র। উল্লেখ্য, এর আগে কানাডা বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
শুধু নয় একই অভিযোগে সু কিকে দেয়া নানা সম্মাননা কেড়ে নিয়েছে গ্লাসগো, এডিনবার্গ ও অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই একই কায়দায় এবার প্যারিস তাদের দেওয়া ফ্রিডম অব প্যারিস পদক কেড়ে নিচ্ছে সু কির থেকে।