কিশোরী বা নাবালিকা পাচারের কথা শোনা যায়। কিন্তু তাই বলে নার্সিংয়ের স্নাতকদের পাচার! হ্যাঁ, পাচার হতে গিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় বেঁচে গেলেন কেরলের ৩২ স্নাতক নার্সিং ছাত্রী। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর কেম্পাগৌড়া বন্দরে নার্সিং ছাত্রীদের দেখে সন্দেহ হয় অভিবাসন দফতরের কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের। তখন তাদের সঙ্গে থাকা টনি টম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল রহস্য সামনে আসে। এই ব্যক্তি ম্যাঙ্গালোরে হোপিসিন ইনস্টিটিউট নামে এক প্রতিষ্ঠান চালায়। সে এই ছাত্রীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্মেনিয়ায় যাচ্ছিল। প্রথমে সে পুলিশকে বলে জার্মানি ভাষা শেখার জন্য দু মাসের কোর্স এদেরকে ইউনিভার্সিটি অফ ট্রাডিশনাল মেডিসিন ইন আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো কানফার্মেশন লেটার দেখাতে না পারায় সন্দেহ বেড়ে যায়। টম জানায়, ওরা জার্মানি ভাষা শিখলে এখানে চাকরির সুযোগ হবে। কিন্তু নার্সিং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে তাদেরকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও তাদের চাকরির কোনো নিয়োগপত্র ছিল না। এমনকি তারা জানে না ঠিক কোথায় তাদেরচক্রী হবে। এরপর পুলিশ টমকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। আজ তোলা হয়েছে দেবনাহালি কোর্টে। তবে ওই ৩২ নার্সিং ছাত্রীকে কেরলে তাদের গ্রামে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct