ডিজে বাজানোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ।বছরের বিভিন্ন পুজো, বিচিত্রা অনুষ্ঠান, প্রতিমা বিসর্জন, বিয়ে, গায়ে হলুদ বা জন্মদিনে ডিজের প্রচলন ব্যাপক বেড়েছে। পারিবারিক এসব অনুষ্ঠান আনন্দ-উৎসবের গণ্ডি ছাড়িয়ে দিন দিন বিরক্তির কারণ হচ্ছে জেলাবাসীর সন্ধ্যা থেকে ভোররাত অবদি উচ্চ শব্দে গান বা ডিজে পার্টি প্রতিবেশী বা শহর এলাকায় ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করলেও ভ্রুক্ষেপ নেই আয়োজকদের। শহরকেন্দ্রিক সহ গ্রাম্য এলাকায় এই শব্দ সন্ত্রাসের জন্য নাগরিক দায়িত্ববোধের অভাবকে দায়ী করে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ সমাজবিজ্ঞানীদের।
অনুষ্ঠান পারিবারিক। আনন্দও সীমাবদ্ধ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে। কিন্তু উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত ডিজে পার্টি বা গানের শব্দ যেন সার্বজনীন। পুরো পাড়া বা মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে গগন বিদারী বিরক্তিকর শব্দ। সাম্প্রতিক সময়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে চলছে এমনই শব্দ সন্ত্রাস। যা কখনো কখনো কারণ হচ্ছে সহিংসতার। পারিবারিক এসব অনুষ্ঠান আনন্দ-উৎসবের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিরক্তির কারণ হচ্ছে পাড়া-প্রতিবেশী সহ জেলাবাসীরা। উচ্চ শব্দে গান বা ডিজে পার্টির এসব প্রোগ্রাম অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে দিনে দিনে। এদিকে অনুমতির প্রয়োজন হলেও আইন মানছে না কেউই। জেলার কয়েকজন পরিবেশবিদরা জানান, সাধারণ মানুষের চাওয়া অনুষ্ঠান পারিবারিক, আনন্দও পারিবারের সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক কিন্তু বিরক্তি যেন পুরো পাড়া বা এলার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ডিজের বক্স বাজেয়াপ্ত করা সহ ডিজে ব্যাবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার প্রশাসনের।