বাংলাদেশের ফেডারেশন কাপের ফাইনালে তাদের দুই সেরা ক্লাবের লড়াই। একদিকে আবাহনী, অন্যদিকে বসুন্ধরা। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ শুরুর আগেই বোঝা গিয়েছিল ফাইনালে মাঠে উত্তেজনার আগুন ছড়াবে। বাস্তবে সেটাই হল। প্রথম ভুলটা করেছিলেন ম্যাচের রেফারি মিজানুর রহমান। শুরু থেকে তিনি ছিলেন ফুটবলারদের ছাড় দেওয়ার মানসিকতায়। সেটাই দুই দলের জন্য লাগামছাড়া হয়ে গেলো। ম্যাচ যখন ইনজুরি সময়ে গড়িয়েছে তখন আবাহনী ৩-১ গোলে এগিয়ে। ফাইনালের ভাগ্য ততক্ষণে লেখা হয়ে গিয়েছে। ঠিক তখনই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বসুন্ধরা কিংসের নাসির উদ্দিন বাজে ফাউল করে বসেন আবাহনীর সানডেকে। এরপরই আবাহনীর একটি আক্রমণের বল দখল নিতে গিয়ে লেগে যায় আবাহনীর ফরোয়ার্ড জীবন ও বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরার মধ্যে। ব্যাস, আর ঠেকায় কে? জীবন প্রথম ঘুষি মারেন সুশান্ত ত্রিপুরার মুখে। সুশান্ত ঘুরে পাল্টা আঘাত করেন জীবনকে- ঘুষি, লাথি ও কিল মেরে ফেলে দেন আবাহনীর স্টাইকারকে। এ যেন বল ছেড়ে দুই খেলোয়াড় কুংফু-ক্যারাটে শুরু করলেন। আবাহনীর বদলি ডিফেন্ডার মামুন মিয়া অনেক দূর থেকে দৌড়ে গিয়ে ফ্লাইং কিক মারেন সুশান্তকে। যা দেখে সবাই হতবাক। ফুটবল মাঠে এটাও সম্ভব? তারপর বসুন্ধরা কিংসের বদলি স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ দৌড়ে গিয়ে ঘুষি মারেন মামুন মিয়াকে। শুরু হয়ে যায় গণমারামারি। দুই দলের ডাগআউট ছেড়ে কোচ-অফিসিয়ালরাও ছুটে যান মাঠের মধ্যে। চার অপরাধীকেই তিনি বের করে দিয়েছেন মাঠ থেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct