রোহিঙ্গা নিয়ে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু কি এর উপর থেকে খাড়া কিছুতেই কাটছে না। এর আগে কানাডা তাদের দেশের দেওয়া সাম্মানিক নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিল। এছাড়া বহু দেশ নানা সম্মানও কেড়ে নেয়। এবার সু কির সম্মান কাড়া নিয়ে জোর ধাক্কা দিল মানবাধিকারসংস্থাঅ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনাল।অংসানসুকিকেদেওয়াসর্বোচ্চসম্মানসূচকপুরস্কার ‘অ্যাম্বাসেডরঅবকনসায়েন্স’ ফিরিয়েনিয়েছেঅ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনাল।রবিবারএক চিঠি লিখে সু কিকে জানিয়ে দিয়েছেন অ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনালেরমহাসচিবকুমিনাইডু। ২০০৯ সালে দেওয়া এই পুরস্কারফিরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মানবাধিকার নিয়ে সু কি তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ বিপরীত ভূমিকা নিয়েছেন। যা একপ্রকার মানবাধিকার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতারণা করার শামিল। তাই এই খেতাব প্রত্যাহার অ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনালের।চিঠিতে কুমিনাইডু আরও লিখেছেন, সু কি গৃহবন্দি থেকে মুক্তি পেয়েছেন আট বছর আগে। তবু তিনি মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজের নীতিকে বিসর্জন দিয়েছেন। তাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খুবই অসন্তুষ্ট সু কির উপর।
এছাড়া বলা হয়েছে, ‘অ্যাম্বাসেডর অব কনকায়েন্স’ হিসেবে অ্যামনেস্টি আশা করেছিল সু কি যেকোন অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। কিন্তু তিনিহতাশা করেছেন। তাই সু কি আর আশা, সাহস ও মানবাধিকারের প্রতীক নন বলে সাফ জানিয়েছেন কুমি নাইড়ু। উল্লেখ্য, মায়নমারে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের দ্বারা নির্বিচার ভাবে হত্যা করা হয়েছে সেখানকার রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের। আর প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct