সুপারবাগের ব্যবহারে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে ইউরোপে। এমনটি জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছে, এখন থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে সুপারবাগের কারণে।
সুপারবাগ হলো অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াকে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে থামানো যায় না। এক গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে যে ২০১৫ সালে সুপারবাগের আক্রমণে শুধুমাত্র ইউরোপেই ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ওইসিডি সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সুপারবাগের আক্রমণে ২৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। দরকারি নয় এমন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এবং জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতালের মৌলিক স্বাস্থ্যবিধির পেছনে ব্যয় না বাড়ালে, পরিণাম আরও মারাত্মক হতে পারে।
ওইসিডির গবেষক দল জানিয়েছে, সুপারবাগে সংক্রমণের খরচ সাধারণ জ্বর বা এইচআইভি সংক্রমণের থেকে অনেক বেশি। এ ব্যাপারে সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নেওয়ায় খরচ আরও বাড়ছে।
নিম্ন ও মধ্যবর্তী আয়ের দেশগুলোতে সুপারবাগ অপ্রতিরোধ্য রূপে দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার ৬০ শতাংশ।
ওইসিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপারবাগের কারণে রান্নার সময় হাত কেটে যাওয়া বা নিউমোনিয়ার মতো অসুখও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপরিকল্পিত ও অতিরিক্ত ব্যবহারই এর কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক-সহনশীল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় বিপুল ব্যয় হবে। প্রতিটি দেশের এই খাতে গড়ে বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন ইউরো করে খরচ হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct