মুসলিমদের শ্রদ্ধেয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করলে আর রেহাই পাবে না ইউরোপের বাসিন্দারা। এমনই এক উদায়হরণ সামনে এসেছে। ইউরোপ জুড়ে ইসলাম বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিলেও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার দায়ে শাস্তি হওয়ার নজির ছিল না। এবার সেই নজির সৃষ্টি করল ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। সেখানে হযরত মুহাম্ম (সা.)-কে ‘শিশু যৌন নিপীড়নকারী’ বলায় অস্ট্রিয়ান এক নারীকে দেশটির স্থানীয় আদালত সাজা দিয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হয়েছিল ইউরোপের মানবাধিকার আদালত। আদালত বলেছে, ওই মহিলাকে সাজা দিয়ে তার বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘণ করেনি বরং অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতি সুরক্ষিত রাখার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রেখেছে অস্ট্রিয়ার আদালত। ২০০৯ সালে দুটি প্রকাশ্য সেমিনারে সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী দাবি করেছিলেন, মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে অল্পবয়সী এক মেয়ের বিয়ে ‘শিশু যৌন নির্যাতনে’র শামিল। ২০১১ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি আদালত তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় মতবাদকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে ৪৮০ ইউরো জরিমানা করে। ওই মহিলা এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের উচ্চ আদালতে আপিল করলেও পূর্বের রায় বহাল থাকে।
অগত্যা ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার আদালতে যান সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী। তার আপিলের প্রেক্ষিতেই ৭ বিচারক বিশিষ্ট মানবাধিকার আদালত বলেছে, অস্ট্রিয়ার আদালতের মূল সিদ্ধান্ত ধর্মীয় শান্তি অক্ষুন্ন রাখার যৌক্তিক উদ্দেশ্য বজায় রেখেছে।
আদালত আরও বলেছে, ওই নারীর বক্তব্য সীমা লঙ্ঘণ করেছে।এ ধরণের বক্তব্য মুসলিমদের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি করতে পারে ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct