পাতলা পায়খানা হলে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। অনেকে আবার তখন শুধু শুকনো খাবার খাওয়াটা উচিত বলে মনে করেন। তরল খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন এই ভেবে যে তাতে নাকি ডায়রিয়ার তীব্রতা বেড়ে যাবে। আসলে এই ধারণার প্রায় পুরোটাই ঠিক নয়, বরং উল্টোটাই ঠিক।ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার জন্য দায়ী কিছু জীবাণু । মূলত দূষিত জল ও খাবারের সঙ্গে এসব জীবাণু পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে পেটের স্বাভাবিক নিয়মে গোলযোগ ঘটায়। এতে ঘন ঘন পায়খানা হয়। শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর জল, ইলেকট্রলাইট। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
যদিও ডায়রিয়া হলে প্রথমেই একটি বিষয় নজরে রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে শরীর যেন প্রয়োজনীয় জল ও ইলেকট্রলাইট পায়। এ জন্য ডায়রিয়া রোগীকে শুকনো খাবারের পরিবর্তে জলীয় খাবার, শুধু জল, ডাবের জল, বিশেষ করে ওরাল স্যালাইন পানের দিকে নজর দিতে হবে। ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার রোগীকে ওরাল স্যালাইনের পাশাপাশি ভাত, ফিরনি, চালের গুঁড়ার জাউ, ছোট্ট শিশুকে বুকের দুধ, একটু বড় শিশুদের অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার খেতে দিলে দ্রুত সেরে উঠবে। কাজেই ডায়রিয়া হলে মুড়ি, চিঁড়া, বিস্কুট, ঘাটতি পূরণে খেতে হবে ওরাল ডিহাইড্রেশন সল্ট বা ওরস্যালাইন এবং শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টি ও শক্তির জোগান দেওয়ার জন্য খেতে হবে স্বাভাবিক খাবার। আর দায়ী রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধও খেতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct