ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রনের প্রচারসভার ইমেইল হ্যাক করার অভিযোগ উঠল রাশিয়ান হ্যাকারদের বিরুদ্ধে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। প্রায় মধ্য রাতে নির্বাচনি প্রচার শেষ হওয়ার আগে একটি ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটে ম্যাক্রন শিবিরের ওই ইমেইলগুলো ফাঁস করা হয়। ম্যাক্রন শিবিরের দাবি, রবিবারের নির্বাচনে ম্যাক্রনকে কোণঠাসা করার জন্যই ইমেইল ফাঁস করা হয়েছে। তার অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে ম্যাক্রন শিবিরের কয়েকজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত ইমেইল একাউন্ট হ্যাক করা হয়। সেখান থেকেই ওই নথি হ্যাকাররা পেয়েছেন। এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত আছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেউ এর দায় স্বীকারও করেনি। ফ্রান্সে নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যম ও প্রার্থীরা আর কোনও বিবৃতি প্রকাশ করতে পারবে না।
তবে ম্যাক্রনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের ইমেইল হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হ্যাকাররা তা করতে সক্ষম হয়নি। ম্যাক্রন শিবির অভিযোগ করেছিল, ওই হ্যাকিং চেষ্টায় রাশিয়ার মদদ রয়েছে। তখন ক্রেমলিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
এর আগে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবিরের হ্যাক করা ইমেইল ফাঁস করেছিল বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো বিকল্প গণমাধ্যম উইকিলিকস। তখন মার্কিন প্রশাসন ও ডেমোক্র্যাট শিবির দাবি করেছিল, এ ইমেইল হ্যাক করার সঙ্গে রুশ হ্যাকাররা জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকেও উঠেছিল আঙ্গুল। তবে রাশিয়া প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের নির্বাচনি ব্যবস্থা অনুযায়ী,প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের নির্বাচনে মধ্যমন্থী ম্যাক্রন পেয়েছেন ২৩.৭৫ শতাংশ ভোট। অপরদিকে, উগ্র-ডানপন্থী লে পেন পেয়েছেন ২১.৫৩ শতাংশ। তারাই লড়ছেন ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফার ভোটে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct