ভুল করে ফোন চলে গিয়েছিল ১৫ বছরের এক কিশোরের। অপর প্রান্তে সেই ফোনটি ধরেছিলেন এক মহিলা। তার পর থেকে দুজনের মধ্যে রোমন্টিক কথাবার্তা। কিন্তু দেখা নেই। অবশেষে যখন কিশোরটি ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তখন দেখেন তিনি ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা। তাতে কী, গ্রামবাসীরা ও ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন কিশোরটির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলেন বৃদ্ধাকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়, বরপেটা জেলার শুখুওয়াঝার গ্রামে।
জানা গেছে, অসমের গোয়ালপাড়া জেলার শিমলিতোলা এলাকার হেপচাপাড়া গ্রামে বাড়ি কিশোরটির। রাজমিস্ত্রির কাজ করা স্কুল ছুট কিশোরটিমাসখানেক আগে বঙাইগাঁওয়ে একজনকে ফোন করতে গিয়ে ভুল নাম্বারে ফোন করায় তা চলে যায় বরপেটা জেলার সুখারচর গ্রামে, ওই মহিলার মোবাইলে। তারপর থেকে রোমানিট কথাবার্তার মাধ্যমে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। তার সুরেলা কণ্ঠে আকৃষ্ট হয়ে কিশোরটি উদ্বেল হয়ে পড়ে বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু মাস খানেক পর ওই বৃদ্ধার গ্রাম শুখুওয়াঝারে যেতেই গ্রামের লোকেরা ছেকে ধরে। কিশোরটি তখন পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কন্যাপক্ষ তাকে ধরে বেঁধে ওই বৃদ্ধার সঙ্গেই বিয়ে দিয়েছে।
কিশোরটি জানিয়েছে সে বিয়ে করতে চায়নি। জোর করে তাকে বিয়ে করানো হয়েছে। বৃদ্ধারও একই অভিযোগ। বৃদ্ধাটির বক্তব্য, বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে ছেলেটি এসেছিল। তার এ বিয়েতে মত ছিল না। তা সত্ত্বেও জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিশোর ছেলেকে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনা জানতে পেরে চাইল্ডলাইন বিষয়টি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন সক্রিয হয়েছে।কমিশনের জেলা প্রশাসক বর্ণালি ডেকা জানান, এখনও পুলিশে অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct