নোটবন্দীর জেরে ডাক পরিষেবার তলানীতে পৌঁছানোয়, প্রতিবাদে এক গ্রামীন উপডাকঘরের তালা ঝুলিয়ে দিলেন প্রায় শতাধিক গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ মুরারই থানার চাতরা গ্রামে। সার্টার নামিয়ে বিক্ষোভ চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। গ্রাহকদের দাবি, গ্রামীন অর্থীনীতিতে উপ ডাকঘরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু নোট বন্দীর সময় থেকে এই চাতরা উপ ডাকঘরের লেনদেন স্বাভাবিক হয় নি। মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে পারছেন না গ্রাহকরা। পেনশন গ্রাহকরা পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না। অনেকই ওষুধ কেনার জন্য টাকা পাচ্ছেন না। এতদিন তাঁদের নেট ব্যংকিং এর কথা শোনানো হচ্ছিল। এবার শোনানো হচ্ছে লিঙ্ক নেই। তাই এই ডাক ঘর রেখেই বা লাভ কি? সাধারণ মানুষ হয়রানির প্রতিবাদে কেন্দ্রস্রকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন।
প্রতিবাদে উপ ডাকঘরের সার্টার নামিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মুরারই থানার পুলিশ। পরে সিউড়িস্থিত বিভাগীয় পোস্ট অফিসের সুপারিন্টেন্ডট তারকনাথ ভাদুরির প্রতিশ্রুতিতে, বিক্ষোভ থামে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বড় গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান গ্রাহকরা। চাতরার বাসিন্দা গোলাম জিম্মি জানান, তাঁর ফিক্সট ডিপোজিট ম্যাচুরিটি হয়ে গেছে। কিন্তু তিন মাস ধরে লিঙ্ক ফেলিওরের কথা শোনানো হচ্ছে। পোস্টঅফিসে যদি এই অবস্থা হয়, মানুষ যাবে কোথায়? একইভাবে জমিরুদ্দিন সাহেব বলেন, টাকা কবে ম্যাচুয়র্ড হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে মিয়ের বিয়ে ঠিক করেও, বিয়ে দিতে পারছেন না। লিঙ্ক ফেলিওরের একই গল্প আমাদের শোনানো হচ্ছে। এব্যাপারে উপডাকঘরের পোস্ট মাস্টার প্রভাত কুমার সূত্রধর বলেন, মানুষের হয়রানি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেটা বি এস এন এলের লিঙ্ক ফেলিওরের জন্য। এব্যাপারে আমরা সিউড়িতে বিভাগীয় সুপারিন্টেন্ডট তারকনাথ ভাদুরিকে জানায়। উনি গ্রাহকদের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct