মধু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। প্রাচিনকাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মধু খাদ্য ও ঔষুধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সর্দি-কাশিতে বা যাদের ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগে, তাদের জন্য মধু খুব উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মধু খাওয়া কতটা উপকারী তা নিয়ে মৃদু বিতর্ক আছে।
মধুতে ৩৮ শতাংশ ফ্রুকটোজ (ফলশর্করা), ৩১ শতাংশ গ্লুকোজ, ১৭ শতাংশ জল, ৭ শতাংশ ম্যালটোজ, ৪ শতাংশ শর্করা থাকে। মধুতে থাকা শর্করাটুকুও রেচন প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত গ্লুকোজে পরিণিত হয়। ফলে মধুর প্রায় ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ গ্লুকোজে পরিণত হচ্ছে। সামান্য পরিমাণে প্রোটিনও পাওয়া যায়। মধু ঘন শর্করা জাতীয় একটি খাদ্য। অনেকেই বলে থাকেন মধু মিষ্টি জাতীয় খাদ্য হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের ইচ্ছামাফিক মধু খেতে পারেন।
আর কোনো ডায়াবেটিস রোগী যদি সত্যি সত্যিই তা করে থাকেন তাহলে তিনি নিজের জন্য খুব বড় বিপদ ডেকে আনবেন। বাজারের অন্য কোনো মিষ্টিদ্রব্য যেমন- রসগোল্লা, চমচম বা সন্দেশ খাওয়ার চেয়ে বড় মাত্রায় হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা মধু একেবারেই খেতে পারবেন না, তা নয়। তবে যতটুকু মধু খাবেন, তার সমতুল্য পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাদ্য কম খেতে হবে। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ মধু খাওয়া উচিত হবে না।
এক চামচ মধু খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রায় দেড় কাপ ভাত বা ছোট একটি রুটি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এরূপ হিসাব মেনে নিয়ে মধু খেতে পারেন তবে খুব ক্ষতিকর হবে না। তবে এটা করা ওঠা বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষেই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আর তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মধুর থেকে দূরত্ব রেখে চলা ভালো