ভূমিকম্প ও সুনামিতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূল শহর পালু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ হওয়ার পর এখন পালু শহরজুড়ে লাশের পাহাড়। এখনো ধ্বংসস্তুপের নীচে দেহের অংশ রয়ে গেছে। এখনো পচনশীল মৃতদেহ বের হচ্ছে মাটির নিচ থেকে। পচন ধরা এসব লাশ থেকে বের হচ্ছে অসহ্য দুর্গন্ধ। ফলে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পালু শহর ছাড়াও পেটোবো এবং বালারোয়া শহরে এখনও উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ।
দুর্গন্ধ নগরী হয়ে ওঠা বিভিন্ন শহর ঘুরে ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মীদের একজন মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ জানান, বহু সংখ্যক মৃতদেহ পাওয়া গেছে যেগুলো আর অক্ষত নেই।
পচন ধরা এ মৃতদেহগুলো উদ্ধারকর্মীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। রোগ এড়াতে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকায় তাদের আরো সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে কোন ধ্বংসস্তুপের নিচে মরদেহ থাকতে পারে তা ধারণা করে উদ্ধারকাজ চলছে। বিধ্বস্ত পালু শহরের পার্কগুলো শরণার্থী শিরিরে পরিণত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে এবং অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তারা এই পার্কগুলোতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। টয়লেট কিংবা পর্যাপ্ত আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
পালুর স্থানীয় এক বাসিন্দা হাজী তাকওয়া জানান, সেখানে অল্প সংখ্যক টয়লেট আছে। কিন্তু সেগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত নেই।
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ বলেছে, সংস্থাটি ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি এবং ভূমিকম্পে ৫ কোটি ডলার ত্রাণ সাহায্য করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct