দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ মেসিডোনিয়ার নাম পাল্টানোর জন্য রবিবার অনুষ্ঠিত হল গণভোট। যদিও খোদ মেসিডোনিয়ার প্রেসিডেন্ট স্বয়ং এই গণভোট বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।তবে প্রধানমন্ত্রী গণভোটের পক্ষে।
এতে বেশিরভাগ মানুষ পুরনো নামের পক্ষে সায় দিলে প্রতিবেশী গ্রিসের সঙ্গে মেসিডোনিয়ার দীর্ঘদিনের একটি বিবাদ মীমাংসা হবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জোটের সদস্য হতে পারবে মেসিডোনিয়া। তারা নিজেদের মুদ্রাও ব্যবহার করতে পারবে।এখন আবেগের মধ্যে দিযে গণবোট অনুষ্ঠিত হল রবিবার। তবে, বেশিরভাগ মানুষ আভাস দিয়েছেন তারা রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া নামের পক্ষেই। তবে শেষ কথা বলবে গণভোটের রায়।
১৯৯১ সালে সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে মেসিডোনিয়া। কিন্তু মুশকিল দেখা দেয় গ্রিসের একটি অঞ্চলের নামও মেসিডোনিয়া হওয়ায়। গ্রিসের অন্যতম জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত মেসিডোনিয়া। তাই বিবাদ চরমে ওঠে গ্রিসের সঙ্গে।আপত্তি জানায় গ্রিস। যদিও দুই মেসিডোনিয়াই একসময় রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।দুই মেসিডোনিয়াই দাবি করে তারা আলেকজান্ডার দা গ্রেটের উত্তরাধিকারী।
গ্রিসের আপত্তির মুখে রৃসংঘ ও অন্যান্য কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা সরাসরি মেসিডোনিয়া নামটি ব্যবহার না করে প্রাক্তন যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্র মেসিডোনিয়া নামে দেশটিকে সম্বোধন করে আসছিল।
মেসিডোনিয়া ২০০৮ সালে একবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চাইলে গ্রিস সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। শেষে স্বাধীন দেশ হিসেবে অস্তিত্ব ঘোষণার ২৭ বছর পর ২০১৮ সালের জুনে একটি চুক্তি সই করে গ্রিস ও মেসিডোনিয়া। চুক্তিতে নাম বদলে রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া করার ব্যাপারে সম্মত হয় মেসিডোনিয়া। বিনিময়ে মেসিডোনিয়া যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারে,সে ব্যাপারে ভেটো দেয়া বন্ধ করবে গ্রিস।ন্যাটো জোটেরও সদস্য হতে পারবে তারা। একই সঙ্গে গ্রিস এটিও মেনে নেবে যে মেসিডোনিয়ার লোকজন মেসিডোনিয়ান ভাষাভাষী, মেসিডোনিয়ান জাতির।