বহু মানুষ অ্যাজমা রোগে ভোগেন। ফুসফুসজনিত এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রোগীরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাদ যায না শিশুরাও। ইদানীংকালে শিশুরাও অ্যাজমার শিকার হচ্ছে। শ্বাসনালির এই অতিসংবেদনশীলতাই অ্যাজমা উপসর্গের কারণ। যাওয়া ও অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। সেটাই অ্যাজমা রোগের উপসর্গ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হু-র হিসাব মতে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৩ কোটি মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। অ্যাজমা এলার্জিজনিত এবং এলার্জিবহির্ভূত দুই ধরনেরই হতে পারে। বেশিরভাগ রোগীর অ্যাজমা এলার্জিজনিত। চারপাশের বিভিন্ন এলার্জিক উপাদান এতে প্রভাব ফেলে যেমন আরশোলা, হাউসডাস্ট মাইট (এক ধরনের কীট), গৃহপালিত পশুর লোম ও খুশকি, ফুলের পরাগ, ছত্রাক, ধুলাবালি, ধোঁয়া (সিগারেট, লাকড়ির চুলা, কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া)। কিছু খাবার এবং এসবে ব্যবহৃত উপাদানগুলো, কিছুকিছু ওষুধ যেমন এসপিরিন, ব্যথানাশক ওষুধ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত বিটাব্লকার ওষুধ ব্যবহারে অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীদের অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। তবে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে ডাক্তারের পরামর্শে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রচণ্ড মানসিক চাপেও অ্যাজমার উপসর্গ বাড়তে পারে। অ্যাজমার সাধারণ উপসর্গগুলো হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, শ্বাসের সঙ্গে বুকে এক ধরনের শব্দ তৈরি হওয়া, বুকে চাপ বোধ করা- যেগুলো সাধারণত শেষ রাতে বা ভোরের দিকে বাড়ে। অনেকে শুধু দীর্ঘমেয়াদি শুকনো কাশিতে ভুগতে পারেন।
অ্যাজমা থেকে বাঁচতে কিছু অবলম্বনের কথা বলে থাকেন ডাক্তাররা। সেগুলি হল-নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, যেসব খাবার বা উপাদান এলার্জি বাড়ায় সেগুলো ত্যাগ করা, ধূমপান না করা প্রভৃতি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct